‘মাদক ব্যবসা চলছে অবাধে’ শিরােনামে একটি প্রতিবেদন |
মনে কর, তােমার নাম ইকবাল হােসেন। তােমার এলাকায় ‘মাদক ব্যবসা চলছে অবাধে’ শিরােনামে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
নাটোরে মাদক ব্যবসা চলছে অবাধে
নিজস্ব সংবাদদাতা : ইকবাল হােসেন, নাটোর।
নাটোরে সম্প্রতি অবাধে চলছে মাদক ব্যবসায়। মাদকসেবীরা ছিনতাই ও চুরিতে সর্বস্বান্ত করছে শহরসহ এলাকাবাসীকে। সাম্প্রতিক সময়ে সর্বত্রই ফেনসিডিল, হেরােইন, গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের ব্যবসা অবাধে চলছে। স্থানীয় লােকজনের অভিযোেগ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশ প্রশাসনের যােগসাজশে প্রকাশ্য দিবালােকেই চলছে এ ব্যবসায়। এটি নিয়ন্ত্রণ করছে গুটিকয়েক গডফাদার। অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলা শহরে উঠতি বয়সের তরুণদের একটি বিরাট অংশ নেশার জগতে পা দিয়ে ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। অনেক অভিভাবক তার মাদকাসক্ত সন্তানকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে কুণ্ঠবােধ করছেন না। শহরের বিভিন্ন বস্তিতে প্রকাশ্যে পুলিশের নাকের ডগায় বিক্রি হয় গাঁজা ও হেরােইনসহ জীবনঘাতী বিভিন্ন মাদকদ্রব্য।
নাটোর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ফেনসিডিল বিক্রির কথা সবার জানা থাকলেও এ কাজে বাধা দেওয়ার কেউ নেই। সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে জানা গেছে সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য দেশে অনুপ্রবেশ করে। এসব অবৈধ মাল, প্রথমে সীমান্তবর্তী এলাকার কয়েকটি চিহ্নিত স্থানে গুদামজাত করা হয়, পরে সুযােগ বুঝে তা বাজারে ছাড়া হয়। মাঝে মাঝে কর্তৃপক্ষ লােক দেখানাে কিছু অভিযান চালালেও আসলে তা যথার্থ নয়। ঐসব অভিযানে ১০০-১৫০ বােতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে চালান দেওয়া হয় ভাড়াটিয়াদের। কিন্তু গডফাদাররা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরেই। পত্রিকায় প্রায়শই জেলার মাদক ব্যবসায়ের পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও এতে সংশ্লিষ্ট সরকারি এজেন্সিগুলাের মাসােহারা বাড়ানাের সুবিধা হয় মাত্র। নাটোর জেলায় বর্তমানে অস্বাভাবিকভাবে চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিচকে চুরি ও অন্যান্য অপরাধ চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব অপরাধের পশ্চাতে মূলত মাদকদ্রব্যই দায়ী। নেশার টাকা জোগাড় করতে অনেক ভালাে পরিবারের সন্তানরাও চাঁদাবাজি, চুরিচামারিতে লিপ্ত হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অবিলম্বে এ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া না গেলে সামাজিক অবস্থার মারাত্মক বিপর্যয় ঘটবে।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।