“ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা” নবম শ্রেণি ১৫ তম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর – Islam Sikkha Class Nine 15th week Assignment 2021 Answer
নির্ধারিত কাজঃ
 |
ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা |
“সৎকর্মে সফলতা ও অসৎ কর্মে ব্যর্থতা এর নিরংকুশ সর্বজনীনতা দিয়েছে ইসলাম”। এর স্বপক্ষে তোমার পাঠ্য বইয়ের আলোকে যৌক্তিকতা নিরূপণ কর।
“ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা” নবম শ্রেণি ১৫ তম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
মানুষ সামাজিক জীব। মানুষের জীবন সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও নির্ভুলভাবে পরিচালনার জন্য ইসলামি শরিয়তের অনুসরণ আবশ্যক। মানব জীবনে ইসলামি শরিয়তের গুরুত্ব অনেক। ইসলামি শরিয়ত পালনের মধ্যেই রয়েছে মানুষের ইহকালের শান্তি ও পরকালের মুক্তি।
ইসলামি শরিয়তকে যারা পরিপূর্ণভাবে গ্রহণ করবে না, তারা দুনিয়ায় লাঞ্ছনা ও আখিরাতে চরম শাস্তি ভােগ করবে। তারা সৎপথ লাভ থেকে বঞ্চিত হবে। অন্যদিকে যারা ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করবে, তাদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,
“তােমরা হীনবল হয়াে না এবং দুঃখিতও হয়াে না, তােমরাই বিজয়ী হবে যদি তােমরা মু’মিন হও।”(সুরা আল-ইমরান ৩:১৩৯)
উক্ত আয়াতে আল্লহপাক মুসলমানদের সফলতার কথা বলেছেন এবং কীভাবে সফলকাম হওয়া যায় তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা লাভের জন্য ইসলামি শরিয়তকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে হবে। ইসলামি শরিয়তের তিনটি প্রধান দিক অর্থাৎ আকীদা-বিশ্বাস, চরিত্র ও নৈতিকতা এবং বাস্তব জীবনে সকল কর্মে নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে সফলতা অর্জন করা যায়।
قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا
যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়। (সূরা আশ শামস, আয়াত ৯)
উক্ত আয়াতে আল্লাহপাক সফলতার জন্য মানবজাতিকে একটি মানদণ্ড দিয়েছেন। তা হল নিজেকে শুদ্ধ করা বা পবিত্র করা। আল্লহপাক মানবজাতি সৃষ্টি করার পর তাঁর ভিতর ভালো-মন্দ বিচার করার ক্ষমতা দান করেছেন। চাইলে সে ক্ষমতা সৎ ও অসৎ কাজে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু যে জ্ঞানকে অসৎ কাজে ব্যয় করবে সে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। সামুদ জাতিকে আল্লাহপাক অসংখ্য নেয়ামত ও ক্ষমতা দান করেছেন। কিন্তু তারা যখন আল্লাহর হুকুমকে অমান্য করল এবং পাপাচারে লিপ্ত হল তখন আল্লাহপাক তাদেরকে ধ্বংস করে দিলেন। অথচ, সামুদ জাতি ছিল সম্পদ, জ্ঞান, বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ জাতি। শুধুমাত্র আল্লাহর হুকুম অমান্য করার কারণে তারা ধ্বংস হয়েছিল। এটা ছিল আল্লাহপাকের ওয়াদা। যা তিনি সূরা সূরা আশ-শামসে উল্লেখ করেছেন-
وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا
এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ। (সূরা আশ শামস, আয়াত ১০)
মানুষকে আল্লহপাক জ্ঞান দান করেছেন, ভাল-মন্দের পার্থক্য বুঝার ক্ষমতা দিয়েছেন। যে নিজ জ্ঞানকে অসৎ পথে কাজে লাগবে সে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা লাভ করতে পারবে না।
সফলতা মানে দুনিয়াতে আর্থ, বাড়ি, গাড়ি করা নয়। বরং সফলতা হল আখিরাতে আল্লহপাকের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে জান্নাত লাভ করা। এটাই হল প্রকৃত সফলতা। আল্লাহপাক
পবিত্র কুরআনে বলেন-
لَا يَسْتَوِي أَصْحَابُ النَّارِ وَأَصْحَابُ الْجَنَّةِ ۚ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ هُمُ الْفَائِزُونَ
জাহান্নামের অধিবাসী এবং জান্নাতের অধিবাসী সমান হতে পারে না। যারা জান্নাতের অধিবাসী, তারাই সফলকাম। (সূরা আল হাশর, আয়াত ২০)
আর এই জান্নাত লাভের জন্য প্রয়োজন আল্লাহপাকের হুকুম-আহকাম, বিধি-নিষেধ মেনে চলা, নিজের অন্তরকে পবিত্র রাখা। তাহলেই আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবো। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি মানেই দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা অর্জন।
পরিশেষে বলা যায়, মানুষকে আল্লাহ্ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। মানুষকে ভালো-মন্দ বিবেচনা করার ক্ষমতা দিয়েছেন। দুনিয়াতের স্বাধীনভাবে চলার শক্তি দিয়েছেন। মানুষ যদি আল্লাহ্ প্রদত্ত ক্ষমতাকে ভালো ও সৎ কাজে ব্যয় করে তাহলে সে সফলকাম আর মন্দ ও অসৎ কাজে ব্যয় করলে সে ব্যর্থ। সুতরাং আমরা বলতে পারি, সৎকর্মে সফলতা ও অসৎ কর্মে ব্যর্থতা এর নিরংকুশ সর্বজনীনতা দিয়েছে ইসলাম।
tnks
এ সাইটি আমার কাছে ভালো লাঘে । যদি সব উত্তর দেওয়া হতো তাহলে ভালো হতো ।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।