সূরা আত তারিক / তারিক্ব (আরবিঃ الطّارق) পবিত্র কুরআনের ৮৬ তম সূরা। আয়াত সংখ্যা ১৬ টি। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়। তাই সূরাটি মাক্কি সূরার অন্তর্ভুক্ত।
পূর্ববর্তী সূরা : সূরা আল-বুরুজ
পরবর্তী সূরা : সূরা আল-আ’লা
নামকরন
আত তারিক এর অর্থ হল “রাতের আগুন্তুক” সূরাটির প্রথম আয়াত থেকেই এর নামকরণ করা হয়েছে। উক্ত সূরায় মহান আল্লাহ মানবজাতিকে চিন্তা করার কথা বলেছেন। আর তা হল কিসের দ্বারা মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়া বলা হয়েছে আল্লাহ সকল বিষয়ে জানেন। এবং তিনি সব কিছুর উপরে ক্ষমতাবান।
সূরা আত তারিক বাংলা অনুবাদ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1
وَالسَّمَاء وَالطَّارِقِ
শপথ আকাশের এবং রাত্রিতে আগমনকারীর।
ওয়াছ ছামাই ওয়াততা-রিক।
(2
وَمَا أَدْرَاكَ مَا الطَّارِقُ
আপনি জানেন, যে রাত্রিতে আসে সেটা কি?
ওয়া মাআদরা-কা মাত্তা-রিক।
(3
النَّجْمُ الثَّاقِبُ
সেটা এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
আন্নাজমুছছা-কিব।
(4
إِن كُلُّ نَفْسٍ لَّمَّا عَلَيْهَا حَافِظٌ
প্রত্যেকের উপর একজন তত্ত্বাবধায়ক রয়েছে।
ইন কুল্লুনাফছিল লাম্মা-‘আলাইহা-হা-ফিজ।
(5
فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ مِمَّ خُلِقَ
অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে।
ফালইয়ানযুরিল ইনছা-নুমিম্মা খুলিক।
(6
خُلِقَ مِن مَّاء دَافِقٍ
সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে।
খুলিকা মিম্মাইন দা-ফিকি।
(7
يَخْرُجُ مِن بَيْنِ الصُّلْبِ وَالتَّرَائِبِ
এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে।
ইয়াখরুজুমিম বাইনিসসুলবি ওয়াত্তারাইব।
(8
إِنَّهُ عَلَى رَجْعِهِ لَقَادِرٌ
নিশ্চয় তিনি তাকে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম।
ইন্নাহূ‘আলা-রাজ‘ইহী লাকা-দির।
(9
يَوْمَ تُبْلَى السَّرَائِرُ
যেদিন গোপন বিষয়াদি পরীক্ষিত হবে,
ইয়াওমা তুবলাছ ছারাইর।
(10
فَمَا لَهُ مِن قُوَّةٍ وَلَا نَاصِرٍ
সেদিন তার কোন শক্তি থাকবে না এবং সাহায্যকারীও থাকবে না।
ফামা-লাহূমিন কুওওয়াতিওঁ ওয়ালা-না-সির।
(11
وَالسَّمَاء ذَاتِ الرَّجْعِ
শপথ চক্রশীল আকাশের
ওয়াছ ছামাই যা-তির রাজ‘ই।
(12
وَالْأَرْضِ ذَاتِ الصَّدْعِ
এবং বিদারনশীল পৃথিবীর
ওয়াল আরদিযা-তিসসাদ‘ই।
(13
إِنَّهُ لَقَوْلٌ فَصْلٌ
নিশ্চয় কোরআন সত্য-মিথ্যার ফয়সালা।
ইন্নাহূলাকাওলুন ফাসল।
(14
وَمَا هُوَ بِالْهَزْلِ
এবং এটা উপহাস নয়।
ওয়ামা-হুওয়া বিল হাঝলি।
(15
إِنَّهُمْ يَكِيدُونَ كَيْدًا
তারা ভীষণ চক্রান্ত করে,
ইন্নাহুম ইয়াকীদূনা কাইদাওঁ।
(16
وَأَكِيدُ كَيْدًا
আর আমিও কৌশল করি।
ওয়া আকীদুকাইদা-।
(17
فَمَهِّلِ الْكَافِرِينَ أَمْهِلْهُمْ رُوَيْدًا
অতএব, কাফেরদেরকে অবকাশ দিন, তাদেরকে অবকাশ দিন, কিছু দিনের জন্যে।
ফামাহহিলিল কা-ফিরীনা আমহিলহুম রুওয়াইদা-।
বাংলা উচ্চারণ পরে এসছে। অর্থ আগে এসছে।