অনুচ্ছেদ

মোবাইল ব্যাংকিং অনুচ্ছেদ

5/5 - (1 vote)

মোবাইল ব্যাংকিং

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় জীবন হয়ে উঠছে আরাে সহজ। মােবাইল আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে বহুল ব্যবহার হচ্ছে এসব প্রযুক্তি। বাংলাদেশও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ চালু হয় মােবাইল ব্যাংকিং। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারণ মোবাইলের মাধ্যমে ঘরে বসেই খুব সহজে ব্যাংকিং লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছে। 

মোবাইল ব্যাংকিং
মোবাইল ব্যাংকিং

মােবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের যাবতীয়  কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার সুবিধাযুক্ত সেবার নামই মােবাইল ব্যাংকিং। এর মাধ্যমে নগদ অর্থ উত্তোলন, জমাদান, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও উপযােগ সেবার বিল প্রদান, বেতন উত্তোলন, প্রবাসী আয় প্রেরণ ও গ্রহণ, সরকারি ভাতা ও অনুদান গ্রহণ প্রভৃতি কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। বিশ্বে প্রথম মােবাইল বাণিজ্যের উদ্ভব হয় ১৯৯৭ সালে এবং প্রথম মােবাইল ফোনভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা চালু হয় একই সালে ফিনল্যান্ডের মেরিটা ব্যাংকে। বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেবা খাতের অন্যতম মাইলফলক মােবাইল ব্যাংকিং আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় ৩১ মার্চ ২০১১। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান একটি মােবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২,০০০ টাকা জমাদানের মাধ্যমে এ সেবার উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমােদন সাপেক্ষে ডাচ-বাংলা ব্যাংক-ই প্রথম বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ও নিজস্ব অবকাঠামাের মাধ্যমে মােবাইল। ব্যাংকিং শুরু করে। দেশের দুই মােবাইল অপারেটর সিটিসেল ও বাংলালিংকের সহযােগতািয় ডাচ-বাংলা ব্যাংক এ সেবা চালু করে।

বিকল্প

মােবাইল ব্যাংকিং হলাে এক ধরনের ইলেকট্রনিক্স ব্যাংকিং, যেখানে মােবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনাে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের সাথে আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করে। এ ব্যাংকিং-এর জন্য একজন গ্রাহকের একটি নির্দিষ্ট মােবাইল নম্বর প্রয়ােজন যা একাউন্ট নম্বর হিসেবে কাজ করে। এ পদ্ধতিতে লেনদেন করার জন্য ব্যাংক গ্রাহককে এক বা একাধিক Password সরবরাহ করে, যা কেবল গ্রাহক এবং ব্যাংকারই অবগত থাকেন। এ Password ব্যবহার করে গ্রাহক তার আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করে থাকেন। ১৯৬১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের “National Bank of New York”, সর্বপ্রথম ইলেকট্রনিক্স ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে এ ইলেকট্রনিক্স সেবা ১৯৯৭ সালে মােবাইলের মাধ্যমে প্রদান শুরু করে। তখন থেকেই মূলত মােবাইল ব্যাংকিং-এর যাত্রা শুরু হয়। ২০১১ সালে বাংলাদেশে ডাচবাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে এ ব্যাংকিং ব্যবস্থার যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশের ব্যাংকের অনুমােদনক্রমে UCB ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রাইভেট ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন নামে মােবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। যেমন- ব্র্যাক ব্যাংকের মােবাইল ব্যাংকিং-এর নাম হলাে Bkash (বিকাশ) , UCB-এর হলাে U-cash, ইসলামি ব্যাংকের হলাে M-cash ইত্যাদি। এ ধরনের ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে গ্রাহককে আগের মতাে ব্যাংকে কিংবা ATM বুথে দৌড়াতে হয় না। ঘরের পাশের Outlet নির্দিষ্ট এজেন্ট থেকে ইচ্ছেমতাে আর্থিক লেনদেন করতে পারে। এর ফলে গ্রাহকের ব্যয় হ্রাস পেয়েছে এবং মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌছে গেছে। ফলে কম সময়ে ও কম অর্থ ব্যয়ে সবাই ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে সক্ষম হচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতে, বাংলাদেশের মতাে তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলােতে মােবাইল ব্যাংকিং খুবই কার্যকর ব্যবস্থা। সর্বোপরি, মােবাইল ব্যাংকিং মানুষের জীবনযাত্রার মানােন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button