সামাজিক উৎসব অনুচ্ছেদ লিখন ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ শ্রেণি । আভিধানিক অর্থেও ‘উৎসব’ বলতে আনন্দময় অনুষ্ঠানকে বােঝায়। যেমন— ধর্মীয় উৎসব, সামাজিক উৎসব,
সামাজিক উৎসব অনুচ্ছেদ লিখন ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ শ্রেণি
সামাজিক উৎসব
উৎসবের দেশ বাংলাদেশ। উৎসব হল আনন্দ প্রকাশ ও লাভের মাধ্যম, এক কথায় যাকে বলা যায় আনন্দানুষ্ঠান। অন্য কথায়, যে সামাজিক সাম্প্রদায়িক বা পারিবারিক সমাবেশ থেকে সুখ বা আনন্দ লাভ করা যায় তাকেই উৎসব বলে। আভিধানিক অর্থেও ‘উৎসব’ বলতে আনন্দময় অনুষ্ঠানকে বােঝায়। এ উৎসবগুলােকে কয়েকটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। যেমন— ধর্মীয় উৎসব, সামাজিক উৎসব, সাংস্কৃতিক উৎসব, পারিবারিক উৎসব, মনীষীদের স্মরণােৎসব ইত্যাদি। কালের বিবর্তনে এসব উৎসবের কোনােটির রূপ বদলায়, কোনােটি বিলুপ্ত হয়, আবার কোনােটি নতুন সৃষ্টি হয়। তবে সব উৎসবের মূলেই রয়েছে আনন্দ। মানবজীবনে উৎসবের তাৎপর্য গভীর ও ব্যাপক।
উৎসব মানুষের এক সামাজিক চেতনার আনন্দমুখর অভিব্যক্তি। তার সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণ-প্রবাহ। উৎসবের মধ্য দিয়েই প্রকাশ পায় জাতির আত্মপরিচয়। উৎসবই তার প্রকৃত দর্পণ। বাংলাদেশের ধর্মীয় উৎসবগুলাের মধ্যে মুসলমানদের হজ, ঈদুল-ফিতর, ঈদুল-আজহা, মুহররম, হিন্দুদের দুর্গাপূজা, সরস্বতীপূজা, কালীপূজা, বৌদ্ধদের বুদ্ধ-পূর্ণিমা, খ্রিস্টানদের বড়দিন ইত্যাদি প্রধান। বাংলাদেশের সামাজিক উৎসবগুলাের মধ্যে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও শহীদ দিবসকে বাংলাদেশে জাতীয় উৎসবের মর্যাদা দেয়া হয়ে থাকে। একুশের বইমেলা, আলােচনা সভা, ঢাকা বইমেলা, প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ, ফেডারেশন কাপ ফুটবল লিগ প্রভৃতি বাংলাদেশের প্রধান প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসব। সংস্কৃতিমনা জনগণ এসব উৎসব থেকে জ্ঞান এবং আনন্দ-দুটোই লাভ করে থাকে। একুশের বইমেলা ও আলােচনা উৎসব বাংলাদেশের মানুষকে ক্রমান্বয়ে সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই এ উৎসবের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের উৎসবের নানা দিক রয়েছে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উৎসবের মধ্যে মিলন ও ঐক্যতত্ত্বের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। মুসলমানদের মহররমে হিন্দুদের অংশগ্রহণ কিংবা হিন্দুদের দেবােৎসবে মুসলমানদের অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়। আবার নববর্ষ উৎসবে হিন্দু-মুসলমান একই সঙ্গে অংশ নিয়ে থাকে। বাংলাদেশের এটি একটি সার্বজনীন উৎসব। বেদনাবিধুর জীবনে উৎসব এক নতুন প্রাণ ও নির্মল আনন্দ সঞ্চার করে। তাই উৎসবের শালীনতা ও পবিত্রতা রক্ষা করার ক্ষেত্রে আমাদের সকলেরই সচেতন এবং আন্তরিক হওয়া প্রয়ােজন। দলমত ভুলে গিয়ে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উৎসবকে করে তুলতে হবে ঐক্য ও মিলনের প্রতীক। তাহলেই সকল উৎসব আমাদের কাছে নির্মল আনন্দের উৎস এবং কল্যাণের দৃষ্টান্ত হতে পারে।
উৎসব মানুষের এক সামাজিক চেতনার আনন্দমুখর অভিব্যক্তি। তার সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণ-প্রবাহ। উৎসবের মধ্য দিয়েই প্রকাশ পায় জাতির আত্মপরিচয়। উৎসবই তার প্রকৃত দর্পণ। বাংলাদেশের ধর্মীয় উৎসবগুলাের মধ্যে মুসলমানদের হজ, ঈদুল-ফিতর, ঈদুল-আজহা, মুহররম, হিন্দুদের দুর্গাপূজা, সরস্বতীপূজা, কালীপূজা, বৌদ্ধদের বুদ্ধ-পূর্ণিমা, খ্রিস্টানদের বড়দিন ইত্যাদি প্রধান। বাংলাদেশের সামাজিক উৎসবগুলাের মধ্যে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও শহীদ দিবসকে বাংলাদেশে জাতীয় উৎসবের মর্যাদা দেয়া হয়ে থাকে। একুশের বইমেলা, আলােচনা সভা, ঢাকা বইমেলা, প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ, ফেডারেশন কাপ ফুটবল লিগ প্রভৃতি বাংলাদেশের প্রধান প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসব। সংস্কৃতিমনা জনগণ এসব উৎসব থেকে জ্ঞান এবং আনন্দ-দুটোই লাভ করে থাকে। একুশের বইমেলা ও আলােচনা উৎসব বাংলাদেশের মানুষকে ক্রমান্বয়ে সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই এ উৎসবের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের উৎসবের নানা দিক রয়েছে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উৎসবের মধ্যে মিলন ও ঐক্যতত্ত্বের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। মুসলমানদের মহররমে হিন্দুদের অংশগ্রহণ কিংবা হিন্দুদের দেবােৎসবে মুসলমানদের অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়। আবার নববর্ষ উৎসবে হিন্দু-মুসলমান একই সঙ্গে অংশ নিয়ে থাকে। বাংলাদেশের এটি একটি সার্বজনীন উৎসব। বেদনাবিধুর জীবনে উৎসব এক নতুন প্রাণ ও নির্মল আনন্দ সঞ্চার করে। তাই উৎসবের শালীনতা ও পবিত্রতা রক্ষা করার ক্ষেত্রে আমাদের সকলেরই সচেতন এবং আন্তরিক হওয়া প্রয়ােজন। দলমত ভুলে গিয়ে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উৎসবকে করে তুলতে হবে ঐক্য ও মিলনের প্রতীক। তাহলেই সকল উৎসব আমাদের কাছে নির্মল আনন্দের উৎস এবং কল্যাণের দৃষ্টান্ত হতে পারে।
মন্তব্যগুলো দেখান