গ্রীষ্মের দুপুর
বিষয়ঃ অনুচ্ছেদ
শ্রেণিঃ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১
ঋতুচক্রের প্রথম ঋতুর নাম গ্রীষ্ম। শেষ ঋতু বসন্তের পরই আসে গ্রীষ্ম। গরম হাওয়ার প্রবাহ, আগুন ঢালা সূর্য, তেতে ওঠা মাটি, ক্লান্তি আর অবসাদ ও ঘর্মাক্ত দেহ সব মিলিয়ে গ্রীষ্ম। গ্রীষ্মের দুপুর প্রকৃতিতে ছড়িয়ে দেয় প্রচণ্ড দহনজ্বালা। এ সময় মনে হয় সূর্য মাথার উপরে অগ্নিরশ্মি ঢালছে। গ্রীষ্মের দুপুরে হাওয়ায় ভেসে আসে আগুনের হলকা তাপ। চারদিকে নিস্তব্ধ নিঝুম ভাব, পরিলক্ষিত হয়। এ সময় মাঠ রােদে পুড়ে চৌচির হয়ে তামাটে রং ধারণ করে। পুকুর, মাঠ-ঘাট শুকিয়ে যায়। গ্রীষ্মের দুপুরে প্রকৃতি সকল কোমলতাকে মুছে দিয়ে কঠিন তপস্যায় ধ্যানমগ্ন হয়ে পড়ে।
গ্রীষ্মের দুপুরে ছেলেমেয়েরা একবার পুকুরে নামলে আর উঠতেই চায় না। সারাদিন ডুবিয়ে চোখ লাল করে ফেলে। এ সময় ধরায় নেমে আসে নীরবতা। কাউকে রাস্তায় দেখা যায় না। উপরে প্রখর সূর্য আর নিচে উত্তপ্ত মাটি। পথিক গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেয়। সবাই তৃষ্ণার্ত থাকে। গ্রীষ্মের দুপুরে পশুপাখিও গরমের দাবানলে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও পিপাসাকাতর চাতকের ডাক শােনা যায়। গ্রীষ্মের দুপুরের গরম নিবারণের জন্য এ সময় পাওয়া যায় কচি ডাব, বাঙ্গি, রসে ভরা তরমুজ। এছাড়া দুপুরের খররােদে ফেরিওয়ালার আইসক্রিম, বেলের শরবত আমাদের হৃদয়কে শীতল করে দেয়। গ্রীষ্মের খররৌদ্রে পৃথিবীকে যতই পুড়িয়ে ছারখার করুক, মানবজীবনে যতই নাভিশ্বাস উঠুক চৈত্রের প্রকৃতিতে থাকে এক ধরনের অর্বাচীন শুদ্ধতা। জীর্ণতা, অশুদ্ধতা, পঙ্কিলতা সব কিছুকে দগ্ধ করে প্রকৃতিতে এনে দেয় নিখাদ শুদ্ধতা। প্রকৃতির স্বাভাবিকতাকে মেনে নিয়ে আমাদেরকে হতে হবে স্বাভাবিক। অর্থাৎ গ্রীষ্মের কষ্টকেও বরণ করে নিতে হবে মন থেকে।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
এত বড় কেনো ছোট করলে ভালো হইতো