অনুচ্ছেদ লিখন : মােবাইল ফোন
বাংলা ২য়
মােবাইল ফোন
(অনুচ্ছেদ)
বর্তমানে যােগাযােগের ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলাে মােবাইল ফোন (Mobile) একটি ইংরেজি শব্দ। এ শব্দটির অর্থ স্থানান্তরযােগ্য। এই ফোন সহজে যেকোনাে স্থানে বহন করা এবং ব্যবহার করা যায় বলে মােবাইল ফোন নামকরণ করা হয়েছে। এটি ষড়ভুজ আকৃতির ক্ষেত্র বা এক একটি সেল নিয়ে কাজ করে বলে একে সেলফোনও বলা হয়। ড. মার্টিন কুপারকে মােবাইল ফোনের উদ্ভাবকের মর্যাদা দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ শতকের শেষ দশকে বিশ্বে বাণিজ্যিকভাবে মােবাইল ফোনের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। এর প্রথম পদযাত্রা জার্মানিতে। ১৯৯৬ সালের দিকে বাংলাদেশে মােবাইল ফোন বাণিজ্যিকভাবে প্রচলিত হয়। মােবাইল ফোনের মাধ্যমে আজ পৃথিবীর যেকোনাে প্রান্ত থেকে মুহূর্তে অন্য প্রান্তে যােগাযােগ করা সম্ভব। বিশ্বের সকল মানুষ আজ পরস্পরের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। পূর্বে আন্তর্জাতিক টেলিযােগাযােগ সংযােগস্থলে বসে সামান্য কিছুক্ষণের জন্য কথা বলা যেত। কিন্তু মােবাইলের মাধ্যমে ঘরে বসে পৃথিবীর যেকোনাে প্রান্তের মানুষের সাথে কথা বলা সম্ভব।
মােবাইল শুধু যােগাযােগের মাধ্যম হিসাবেই কাজ করে না বরং এর রয়েছে বহুবিধ ব্যবহার। এর Multipurpose object-এর মধ্যে সেট করা থাকে ঘড়ি ও ক্যালেন্ডার। অতি সাম্প্রতিককালে মােবাইলে সংযুক্ত হয়েছে ডিজিটাল ক্যামেরা ও ভিডিও ধারণ ও প্রদর্শন, এসএমএস এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা। এছাড়া নানা ধরনের অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার মােবাইল ফোনকে করে তুলেছে আধুনিক মানুষের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি মােবাইল কোম্পানি তাদের কার্যক্রম চালু করেছে। মােবাইল ফোনের মাধ্যমে পুরাে বিশ্বকে মানুষ তার হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। তবে মােবাইল ফোনের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতাও রয়েছে। নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য মােবাইল ফোন অনেকাংশে দায়ী। মােবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থাকলেও এটি বিশ্বের মধ্যে সৃষ্টি করেছে নৈকট্যের সম্পর্ক। আমাদের উচিত এর যথেচ্ছ ব্যবহার না করে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
Good