ইসলাম ও জীবনকুরআন

Surah Al Quraish (আল-কুরাইশ) in English & Bangla Translation

5/5 - (3 votes)

সূরা কুরাইশ পবিত্র কুরআনের ১০৬ তম সূরা। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়। Surah Al Quraish (আল-কুরাইশ) in English & Bangla Translation সূরা কুরাইশ পবিত্র কুরআনের ১০৬ তম সূরা। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়।  আয়াত সংখ্যা ০৪।  সুরটি মাক্কী সূরার শ্রেণীভুক্ত।
১-৪ নং আয়াতের তাফসীর কুরআনের বর্তমান উসমানী (রাঃ) সংস্করণের বিন্যাসে এ সূরাটিকে সূরা ফীল হতে পৃথকভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে। উভয় সূরার মধ্যে (আরবি) দ্বারা পার্থক্য সৃষ্টি করা হয়েছে। বিষয়বস্তুর দিক থেকে এ সূরাটিও সূরা ফীল এরই অনুরূপ।

আল-কুরাইশ আয়াতসমূহ

بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
In the Name of Allah, the Most Beneficent, the Most Merciful.

لِاِیۡلٰفِ قُرَیۡشٍ ۙ﴿۱
লিঈলা-ফি কুরাইশ।
যেহেতু কুরাইশের আসক্তি আছে,
(It is a great Grace and Protection from Allah), for the taming of the Quraish,

اٖلٰفِہِمۡ  رِحۡلَۃَ  الشِّتَآءِ  وَ الصَّیۡفِ ۚ﴿۲
ঈলা-ফিহিম রিহলাতাশশিতাই ওয়াসসাঈফ।
আসক্তি আছে তাদের শীত ও গ্রীষ্ম সফরের,
(And with all those Allah’s Grace and Protections for their taming, We cause) the (Quraish) caravans to set forth safe in winter (to the south), and in summer (to the north without any fear),

فَلۡیَعۡبُدُوۡا  رَبَّ ہٰذَا الۡبَیۡتِ ۙ﴿۳
ফালইয়া‘বুদূরাব্বা হা-যাল বাঈত।
অতএব তারা ইবাদাত করুক এই গৃহের রবের,
So let them worship (Allah) the Lord of this House (the Ka’bah in Makkah).

الَّذِیۡۤ  اَطۡعَمَہُمۡ  مِّنۡ جُوۡعٍ ۬ۙ وَّ اٰمَنَہُمۡ مِّنۡ خَوۡفٍ ٪﴿۴
আল্লাযীআতা‘আমাহুম মিন জূ‘ইওঁ ওয়া আ-মানাহুম মিন খাওফ।
যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার্য দান করেছেন এবং ভয় হতে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।
(He) Who has fed them against hunger, and has made them safe from fear.

নামকরন ও গুরুত্ব

কুরাইশ আরবের একটি সম্ভ্রান্ত বংশ। এ বংশেই নাবী (সাঃ)-এর জন্ম। সূরার প্রথম আয়াতে উল্লিখিত কুরাইশ শব্দ থেকেই উক্ত নামে সূরার নামকরণ করা হয়েছে। এ সূরাকে “সূরা ইলাফ”ও বলা হয়। অনেকে মনে করেন পূর্বের সূরার সাথে এ সূরার সম্পর্ক রয়েছে। উম্মু হানী বিনতু আবূ তালেব (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন : আল্লাহ তা‘আলা কুরাইশদের সাতটি বিষয়ে মর্যাদা দান করেছেন: (১) আমি তাদের মধ্য হতে। (২) নবুওয়াত তাদের মধ্য হতে এসেছে। (৩) কাবাগৃহের তত্ত্বাবধান। (৪) হাজীদের পানি পান করানোর দায়িত্ব পালন। (৫) আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে হস্তীবাহিনী বিরুদ্ধে সাহায্য করেছেন। (৬) উক্ত ঘটনার পর কুরাইশরা দশবছর যাবৎ আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কারো ইবাদত করেনি। (৭) আল্লাহ তা‘আলা তাদের বিষয়ে কুরআনে পৃথক একটি সূরা নাযিল করেছেন যাতে তাদের ব্যতীত আর কারো আলোচনা করা হয়নি। অতঃপর তিনি ‘বিসমিল্লাহ’সহ অত্র সূরাটি তেলাওয়াত করেন। (সিলসিলা সহীহাহ হা. ১৯৪৪, সহীহুল জামে হা. ৪২০৯) لِإِيْلٰفِ- শব্দের অর্থ : স্বাভাবিক ও অভ্যস্ত হওয়া। অর্থাৎ কোন কষ্ট ও বিরাগ অনুভব না করা। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন : তারা ব্যবসায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। ফলে শীত ও গ্রীষ্মকালে ব্যবসায় করা তাদের জন্য কষ্টকর হত না। (সহীহ বুখারী) কুরাইশদের প্রধান জীবনোপকরণ ছিল ব্যবসায়। প্রতি বছর তাদের বাণিজ্যিক কাফেলা দুবার অন্য দেশে সফর করত। তারা সেখান থেকে পণ্য নিয়ে আসত। শীতকালে গরম এলাকা ইয়ামান, আর গ্রীষ্মকালে ঠাণ্ডা এলাকা শাম সফর করত। কাবাঘরের খাদেম বলে আরবরা তাদের সম্মান করত। এজন্যই তাদের বাণিজ্যিক কাফেলা বিনা বাধায় সফর করত। তাই আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে এ ঘরের একমাত্র মালিক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করার নির্দেশ দিয়েছেন যে ঘরের কারণে তারা বিনা বাধায় ব্যবসায় করতে পারে ও প্রভূত সম্মানের পাত্র হয়েছে। (أَطْعَمَهُمْ مِّنْ جُوْعٍ) অর্থাৎ উক্ত ব্যবসায়-বাণিজ্যের মাধ্যমে তাদেরকে খাদ্য দেন। اٰمَنَهُمْ مِّنْ خَوْفٍ)) অর্থাৎ সকল লুণ্ঠন ও হত্যাযজ্ঞ হতে তাদেরকে নিরাপদে রেখেছেন। কারণ তারা হারামের অধিবাসী ও হারামের খাদেম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন : (وَضَرَبَ اللہُ مَثَلًا قَرْیَةً کَانَتْ اٰمِنَةً مُّطْمَئِنَّةً یَّاْتِیْھَا رِزْقُھَا رَغَدًا مِّنْ کُلِّ مَکَانٍ فَکَفَرَتْ بِاَنْعُمِ اللہِ فَاَذَاقَھَا اللہُ لِبَاسَ الْجُوْعِ وَالْخَوْفِ بِمَا کَانُوْا یَصْنَعُوْنَ)‏ “আল্লাহ দৃষ্টান্ত‎ দিচ্ছেন এক জনপদের যা ছিল নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত, যেথায় আসত সর্বদিক হতে তার প্রচুর জীবনোপকরণ। অতঃপর তার অধিবাসীরা আল্লাহর অনুগ্রহ অস্বীকার করল, ফলে তারা যা করত তজ্জন্য আল্লাহ তাদেরকে আস্বাদ গ্রহণ করালেন ক্ষুধা ও ভীতির।” (সূরা নাহল ১৬: ১১২) তাই যে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষুধার সময় খাদ্য দান করেন, ভয় থেকে নিরাপত্তা দান করেন তার শুকরিয়া জ্ঞাপনার্থে কাবা ঘরের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করা উচিত। 

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়

 ১. কুরাইশদের মর্যাদা সম্পর্কে জানলাম। 
২. বাইতুল্লাহর কারণে তারা যে সম্মানের পাত্র ও নিরাপত্তা পেয়েছিল তা অবগত হলাম। 
৩. কুরাইশদের জীবনচিত্র সম্পর্কে জানলাম। 
৪. ক্ষুধার সময় খাদ্য পাওয়া ও ভয়ের সময় নিরাপত্তা পাওয়া অনেক বড় নেয়ামত।

তথ্যসূত্রঃ উইকিপেডিয়া

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

One Comment

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button