![]() |
সূরা আল-ইনশিকাক এর বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ |
সূরা আল-ইনশিকাফ (আরবিঃ الانشقاق) পবিত্র কুরআন শরীফের ৮৪ তম সূরা। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়। আয়াত সংখ্যা ২৫। সূরাটিতে ২১ নং আয়াতে একটি সিজদাহ রয়েছে ।
⇽পূর্ববর্তী সূরা ঃ সূরা আত – মুত্বাফ্ফিফীন
পরবর্তী সূরা ⇾ ঃ সূরা আল-বুরুজ
নামকরণ
প্রথম আয়াতের اِنْشَقَّتْ শব্দটি থেকে এই নামকরণ করা হয়েছে। এর মূলে রয়েছে اِنْشَقَّاق শব্দ। ইনশিকাক মানে ফেটে যাওয়া। অর্থাৎ এ নামকরণের মাধ্যমে একথা বলতে চাওয়া হয়েছে যে, এটি এমন একটি সূরা যাতে আকাশের ফেটে যাওয়ার উল্লেখ আছে।
সূরা আল-ইনশিকাক বাংলা উচ্চারণ
নিচে সূরা আল-ইনশিকাক এর বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও আরবিসহ দেওয়া হলঃ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1
اِذَا السَّمَآءُ انْشَقَّتْ
ইযাছ ছামাউন শাক্কাত।
যখন আসমান ফেটে যাবে,
(2
وَاَ ذِنَتْ لِرَبِّهَا وَحُقَّتْ
ওয়া আযিনাত লিরাব্বিহা-ওয়া হুক্কাত।
এবং স্বীয় রব-এর নির্দেশ পালন করবে, আর তাই তার করণীয়।
(3
وَاِ ذَا الْاَ رْضُ مُدَّتْ
ওয়া ইযাল আরদুমুদ্দাত।
এবং যখন পৃথিবীকে সম্প্রসারিত করা হবে।
(4
وَاَ لْقَتْ مَا فِيْهَا وَتَخَلَّتْ
ওয়া আল কাত মা-ফীহা-ওয়া তাখাল্লাত।
এবং পৃথিবী তার গর্ভস্থিত সবকিছু বাইরে নিক্ষেপ করবে ও শুন্যগর্ভ হয়ে যাবে।
(5
وَاَ ذِنَتْ لِرَبِّهَا وَحُقَّتْ
ওয়া আযিনাত লিরাব্বিহা-ওয়া হুক্কাত।
এবং তার পালনকর্তার আদেশ পালন করবে এবং পৃথিবী এরই উপযুক্ত।
(6
يٰۤاَ يُّهَا الْاِ نْسَا نُ اِنَّكَ كَا دِحٌ اِلٰى رَبِّكَ كَدْحًا فَمُلٰقِيْهِ
ইয়াআইয়ুহাল ইনছা-নুইন্নাকা কা-দিহুন ইলা-রাব্বিকা কাদহান ফামুলা-কীহ।
হে মানুষ! তোমাকে তোমার রব পর্যন্ত পৌঁছতে বহু কষ্ট স্বীকার করতে হবে, অতঃপর তুমি তার সাক্ষাৎ লাভ করবে।
(7
فَاَ مَّا مَنْ اُوْتِيَ كِتٰبَهٗ بِيَمِيْنِهٖ
ফাআম্মা-মান ঊতিয়া কিতা-বাহূবিয়ামীনিহ।
যাকে তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে
(8
فَسَوْفَ يُحَا سَبُ حِسَا بًا يَّسِيْرًا
ফাছাওফা ইউহা-ছাবুহিছা-বাইঁ ইয়াছীরা-।
তার হিসাব-নিকাশ সহজে হয়ে যাবে
(9
وَّيَنْقَلِبُ اِلٰۤى اَهْلِهٖ مَسْرُوْرًا
ওয়া ইয়ানকালিবুইলা-আহলিহী মাছরূরা-।
সে তার স্বজনদের কাছে সানন্দে ফিরে যাবে।
(10
وَاَ مَّا مَنْ اُوْتِيَ كِتٰبَهٗ وَرَآءَ ظَهْرِهٖ
য়া আম্মা-মান ঊতিয়া কিতা-বাহূওয়ারাআ জাহরিহ।
এবং যাকে তার আমলনামা পিঠের পশ্চাদ্দিক থেকে দেয়া, হবে,
(11
فَسَوْفَ يَدْعُوْا ثُبُوْرًا
ফাছাওফা ইয়াদ‘ঊ ছুবূরা-।
সে মৃত্যুকে আহবান করবে,
(12
وَّيَصْلٰى سَعِيْرًا
ওয়া ইয়াসলা-ছা‘ঈরা-।
এবং জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
(13
اِنَّهٗ كَا نَ فِيْۤ اَهْلِهٖ مَسْرُوْرًا
ইন্নাহূকা-না ফীআহলিহী মাছরূরা-।
সে তার পরিবার-পরিজনের মাঝে আনন্দে মগ্ন ছিল,
(14
اِنَّهٗ ظَنَّ اَنْ لَّنْ يَّحُوْرَ
ইন্নাহূজান্না আল্লাইঁ ইয়াহূরা।
সে ভাবত যে, সে কক্ষনো (আল্লাহর কাছে) ফিরে যাবে না।
(15
بَلٰۤى ۛ اِنَّ رَبَّهٗ كَا نَ بِهٖ بَصِيْرًا
বালা-ইন্না রাব্বাহূকা-না বিহী বাসীরা-।
অবশ্যই ফিরে যাবে, তার প্রতিপালক তার প্রতি দৃষ্টি রাখছেন।
(16
فَلَاۤ اُقْسِمُ بِا لشَّفَقِ
ফালাউকছিমুবিশশাফাক।
আমি শপথ করি সন্ধ্যাকালীন লাল আভার
(17
وَا لَّيْلِ وَمَا وَسَقَ
ওয়াল্লাইলি ওয়ামা-ওয়াছাক।
এবং রাত্রির, এবং তাতে যার সমাবেশ ঘটে
(18
وَا لْقَمَرِ اِذَا اتَّسَقَ
ওয়ালকামারি ইযাত্তাছাক।
এবং চন্দ্রের, যখন তা পূর্ণরূপ লাভ করে,
(19
لَتَرْكَبُنَّ طَبَقًا عَنْ طَبَقٍ
লাতারকাবুন্না তাবাকান ‘আন তাবাক।
অবশ্যই তোমরা (আধ্যাত্মিক ও জাগতিক সর্বক্ষেত্রে) স্তরে স্তরে উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে উর্ধ্বে উঠবে
(20
فَمَا لَهُمْ لَا يُؤْمِنُوْنَ
ফামা-লাহুম লা-ইউ’মিনূন।
অতএব, তাদের কি হল যে, তারা ঈমান আনে না?
(21
وَاِ ذَا قُرِئَ عَلَيْهِمُ الْقُرْاٰ نُ لَا يَسْجُدُوْنَ ۩
ওয়া ইযা-কুরিআ ‘আলাইহিমুল কুরআ-নুলা-ইয়াছজুদূন (ছিজদাহ-১৩)।
যখন তাদের কাছে কোরআন পাঠ করা হয়, তখন সেজদা করে না।
(22
بَلِ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا يُكَذِّبُوْنَ
বালিল্লাযীনা কাফারূইউকাযযিবূন।
বরং কাফেররা এর প্রতি মিথ্যারোপ করে।
(23
وَا للّٰهُ اَعْلَمُ بِمَا يُوْعُوْنَ
ওয়াল্লা-হু আ‘লামুবিমা-ইয়ূ‘ঊন।
তারা যা সংরক্ষণ করে, আল্লাহ তা জানেন।
(24
فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَا بٍ اَلِيْمٍ
ফাবাশশিরহুম বি‘আযা-বিন আলীম।
অতএব, তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন।
(25
اِلَّا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَهُمْ اَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُوْنٍ
ইল্লাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুস সা-লিহা-তি লাহুম আজরুন গাইরু মামনূন।
কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার।
সূরা আল-ইনশিকাক ভিডিও
