“বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা” নবম শ্রেণি ১৩ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর
“বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা” নবম শ্রেণি ১৩ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর – Class Nine BGS 13th week assignment answer
নির্ধারিত কাজঃ
প্রাচীন বাংলার মানচিত্র ও জনপদগুলো চিহ্নিতকরঃ
প্রাচীন কাল থেকে আরম্ভ করে আনুমানিক ষষ্ঠ ও সপ্তম শতকে প্রাচীন বাংলা পুণ্ড্র, গৌড়, রাঢ়, সূহ্ম, তাম্রলিপি, সমতট, বঙ্গ ইত্যাদি জনপদে বিভক্ত। নিন্মে প্রাচীন বাংলার মানচিত্র অংকন করে জনপদগুলো চিহ্নিত করা হলঃ
ভৌগোলিক অবস্থার প্রেক্ষিতে জনপদ গড়ে উঠার কারণ
প্রাচীন বাংলার জনপদগুলাে স্বতন্ত্র ও পৃথক, মাঝে মাঝে বিরােধ মিলনে একের সাথে অন্যের যােগাযােগের বিষয়টি লক্ষ করা যায়। তবে প্রত্যেকেই যে স্বতন্ত্র সে বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। প্রত্যেকটি জনপদ দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। প্রাচীন বাংলা জনপদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অঞ্চল ছিল বঙ্গ। “বাঙালি” শব্দের উৎপত্তি হয়েছিল “বঙ্গ” থেকে। প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের দিক দিয়ে পুণ্ড্র ছিল সবচেয়ে সমৃদ্ধ জনপদ। পাথরে খোদাই করার হাতেখড়ির সূচনা হয় পুণ্ড্র জনপদ থেকেই।
সমতট জনপদ ছিল বর্তমান কুমিল্লার প্রাচীন নাম। কুমিল্লার ময়নামতিতে অনেক প্রাচীন নিদর্শনের সন্ধান মিলেছে। শালবন বিহার এদের মধ্যে অন্যতম।
প্রাচীন যুগে বাংলা বিভিন্ন জনপদে বিভক্ত ছিল এবং এই জনপদবাসীরাই স্ব-স্ব জনপদের নামেই পরিচিতি লাভ করে। তবে ভৌগােলিক পরিবেশ একদিকে যেমন প্রাকৃতিক পরিবর্তনের (নদীর ভাঙা-গড়া) সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে ঠিক একইভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতা বিস্তার বা হ্রাসের মাধ্যমে জনপদগুলাের আয়তনও পরিবর্তিত হয়েছে। প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে এসব পৃথক পৃথক অংশগুলাে এককথায় ‘জনপদ’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে।
ধন্যবাদ আপনাদের আমাদের সহায়তা করের জন্য