![[মতামত] স্কুল বন্ধ, অ্যাসাইনমেন্ট স্থগিত, পরীক্ষা নাকি অটোপাস? [মতামত] স্কুল বন্ধ, অ্যাসাইনমেন্ট স্থগিত, পরীক্ষা নাকি অটোপাস?](https://i0.wp.com/1.bp.blogspot.com/-b5ailsNVsGo/YN6bbeC9A2I/AAAAAAAAGcc/7zGsa2Rlafscxnjv7rhrs8DcWAf0DV-qgCLcBGAsYHQ/s16000/Dipu.jpg?w=780&ssl=1)
স্কুল বন্ধ, অ্যাসাইনমেন্ট স্থগিত, পরীক্ষা নাকি অটোপাস এইসব বিষয়গুলো তোমাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তবে বিষয়গুলো নিয়ে এতটা উদ্ভিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। মনে রাখবে তুমি এক না প্রায় ৪০ লক্ষ শিক্ষার্থীর একই অবস্থা।
আমরা ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখতে চাই। এ সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে আমাদের বিকল্প ভাবতে হবে। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতিই রয়েছে।
অধ্যাপক নেহাল আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেছিলেন অনালাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা বাস্তবায়ন করার জন্য ৩ থেকে ৪ বছর সময়ের প্রয়োজন।
সুতরাং এটা কিছুটা নিশ্চিত যে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই অটোপাস আর অ্যাসাইনমেন্ট এর কথাগুলোই বার বার উঠে আসছে। তবে অটোপাস কিসের উপর ভিত্তি করে হবে এই প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেছিলেন,
সর্বশেষ বিকল্প হচ্ছে আগের পরীক্ষাগুলোর ভিত্তিতে মূল্যায়ন। কিন্তু গত বছর জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন করা হয়। যা পরিচিতি পায় অটোপাস হিসেবে। কিন্তু এবার যারা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে তাদের ক্ষেত্রে আরো নতুন কিছু ভাবতে হবে। কারণ এর আগে তারা শুধু জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। শুধু একটি পরীক্ষার মূল্যায়ন দিয়ে আরেকটি পরীক্ষার মূল্যায়ন সম্ভব নয়।
তাই এটাও কিছুটা ধারণা করা যাচ্ছে অটোপাসের বিষয়টিও পরিষ্কার না। তবে তিনি একটি আশ্বাস অবশ্য দিয়েছিলেন, পাঁচ-ছয় মাস পিছিয়ে হলেও এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে তবু অটোপাস দেয়া হবে না। ছোটখাটো পরীক্ষা হলেও পরীক্ষা হবে।
কিন্তু পরোক্ষনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন:
এক বছর পরীক্ষা না দিলে জীবনের এমন কোনো বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না।
সুতরাং তোমরা বুঝতেই পারছ কোন কিছুই পরিষ্কার না।
তোমাদের করণীয়
স্কুল বন্ধ, অ্যাসাইনমেন্ট স্থগিত, পরীক্ষা নাকি অটোপাস এইসব বিষয়গুলো তোমাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তবে বিষয়গুলো নিয়ে এতটা উদ্ভিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। মনে রাখবে তুমি এক না প্রায় ৪০ লক্ষ শিক্ষার্থীর একই অবস্থা। সুতরাং হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পরীক্ষা হোক বা না হোক, স্কুল খুলুক বা না খুলুক, অ্যাসাইনমেন্ট চলুক বা না চলুক, তোমাদেরকে পড়াশুনাতেই থাকতে হবে। পড়ালিখার কোন বিকল্প নেই। স্কুল চালু হলেই পড়ব এর আগে নয়, সবার আগে এই মানসিকতা দূর করতে হবে। তোমরা বাড়িতে বসে রুটিন করে পড়তে বসবে। সরকারের সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে এরপর পড়তে বসব এমনটা ভেবে থাকলে তা থেকে বেরিয়ে আসো। কারণ উপরের সংবাদগুলো থেকে মোটামুটিভাবে বলা চলে শিক্ষা বোর্ড থেকে হুট করে যেকোন সিদ্ধান্তই আসতে পারে এবং তা স্বল্প সময়েই। তাই বলছি পরীক্ষার প্রস্তুতি তোমাদের নিয়ে রাখতে হবে। এটার কোন বিকল্প নেই। একটা কথা মনে রাখবে অটোপাস বা অ্যাসাইনমেন্ট প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন নয়। আসল মূল্যায়ন তুমি নিজেই। সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তোমার মেধাকেও সংক্ষিপ্ত করে দিচ্ছে। তাই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করার পর সম্ভব হলে স্ব স্ব শ্রেণীর সবগুলো বই অধ্যায়ন করবে। স্কুলে ক্লাস করলেই যে মেধার বিকাশ বহুগুনে হবে এমনটা নয়। হ্যা, স্কুল একটি বড় ভূমিকা রাখে তা অস্বীকার করা কোন উপায় নেই। তবে স্কুলের পাঠ দানে সবাই যে মেধায় বিকশিত হয় এমনটাও নয়। তাহলে সবার রোল এক হতো। স্কুল একটি গাইড লাইন দেয় এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করে। এখন যেহেতু স্কুল বন্ধ তাহলে গাইড লাইন পরিবারের সদস্যের কাজ থেকে নিতে পারো। দরকার পড়লে শ্রেণী শিক্ষকের সাথে ফোনে পরামর্শ নাও। ই-লার্নিং এর সহায়তা নাও ।
পরিশেষে বলব যারা যারা নবম সপ্তাহ পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করো নেই তার শেষ করে নাও। অনেক স্কুলে হয়তো ৭ম কি ৮ম সপ্তাহ পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছে। তাই যারা যে সপ্তাহ পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট পেয়েছ তারা ৯ম সপ্তাহ পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট করে ফেলতে পারো।
তোমরা তোমাদের মতামত আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারো।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

খুবই দরকারি কথা বলেছেন স্যার ।
উপকৃত হলাম। আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর করে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য
কথাগুলো শুনে অনেকটা আশা পেলাম
আমার পছন্দের একটি সাইট। ভালো থাকবেন স্যার ��