বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ লিখন ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ শ্রেণি বাংলাদেশে সবচেয়ে বড়াে মেলার নাম হলাে বৈশাখী মেলা।এটি বাঙালির একটি সার্বজনীন লােকউৎসব। নববর্ষের উৎসব
what's hot
বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ লিখন ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ শ্রেণি
বৈশাখী মেলা
‘মেলার’ আক্ষরিক অর্থ ‘মিলন’। মেলার নামে সবার মন এক অভূতপূর্ব আনন্দের উচ্ছাসে ওঠে নেচে। মেলার আনন্দের স্মৃতি সকলের মনেই থাকে গভীরভাবে মুদ্রিত। মেলা পরস্পরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ও ভাব--সম্মিলনের সংযােগ সেতু। বিশেষ কোন পর্ব উপলক্ষে মেলার প্রচলন হলেও এখন গ্রামীণ-জীবনে এটি একটি স্বাভাবিক উৎসবে রূপ নিয়েছে। সাধারণত বছরের শেষে অথবা বছরের শুরুতে এই মেলা বসে অথবা বিশেষ কোন পর্ব উপলক্ষেও মেলার আয়ােজন করা হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড়াে মেলার নাম হলাে বৈশাখী মেলা। এটি বাঙালির একটি সার্বজনীন লােকউৎসব। নববর্ষের উৎসব গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে ওতপ্রােতভাবে জড়িত, ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। নববর্ষকে উৎসবমুখর করে তােলে বৈশাখি মেলা। এটি মূলত সার্বজনীন লােকজ মেলা। এ মেলা অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে হয়ে থাকে।
মেলার বিচিত্র আনন্দ-অনুষ্ঠানে, কেনা-বেচার বাণিজ্যিক লেনদেনে, মিলনের অমলিন খুশিতে, অবারিত আন্তর প্রীতির পর্শে মেলার দিনটি মুখর হয়ে ওঠে। বৈশাখী মেলার প্রথম দিনেই শুরু হয় ব্যবসায়ীদের হালখাতার শুভ মহরত। প্রতিটি বিক্রয়-প্রতিষ্ঠানেই ক্রেতাদের মিষ্টান্ন সহযােগে আপ্যায়ন করা হয়। সর্বত্রই এক মধুর প্রীতিপূর্ণ পরিবেশ। এ ছাড়া দরিদ্র ভােজনে, নৃত্য-গীতে, সভা-সমিতিতে, আনন্দে-উৎসবে মেলা মহিমােজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বৈশাখী মেলা একদিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে। এ-মেলায় স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য, কারুপণ্য, লােকশিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত সামগ্রী, সকলপ্রকার হস্তশিল্পজাত ও মৃৎশিল্পজাত সামগ্রী, রন্ধনশিল্পজাত সামগ্রী, ফার্নিচারসহ নিত্য ব্যবহার্য আধুনিক সব ধরনের সামগ্রী পাওয়া যায়। এছাড়া শিশু-কিশােরদের খেলনা, মহিলাদের সাজ-সজ্জার সামগ্রী এবং বিভিন্ন লোকজ খাদ্যদ্রব্য যেমন: চিড়া, মুড়ি, খই, বাতাসা ইত্যাদি, বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি প্রভৃতির বৈচিত্র্যময় সমারােহ থাকে। মেলায় বিনােদনেরও ব্যবস্থা থাকে। মেলায় অনুষ্ঠিত হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লােগায়ক ও লােকনর্তকদের উপস্থিতি থাকে। তারা যাত্রা, পালাগান, কবিগান, জারিগান, গম্ভীরা গান, গাজীর গানসহ বিভিন্ন ধরনের লােকসঙ্গীত, বাউল-মারফতি-মুর্শিদি-ভাটিয়ালি ইত্যাদি বিভিন্ন আঞ্চলিক গান পরিবেশন করেন। লাইলী-মজনু, ইউসুফ-জোলেখা, রাধা-কৃষ্ণ প্রভৃতি আখ্যানও উপস্থাপিত হয়। চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, নাটক, পুতুলনাচ, নাগরদোলা, সার্কাস ইত্যাদি মেলার বিশেষ আর্কষণ। এছাড়া শিশু-কিশােরদের আকর্ষণের জন্য থাকে বায়স্কোপ। শহরাঞ্চলে নগর সংস্কৃতির আমেজে এখনও বৈশাখি মেলা বসে এবং এই মেলা বাঙালিদের কাছে এক অনাবিল মিলন মেলায় পরিণত হয়। বৈশাখি মেলা বাঙালির আন্দঘন লােকায়ত সংস্কৃতির ধারক।
মেলার বিচিত্র আনন্দ-অনুষ্ঠানে, কেনা-বেচার বাণিজ্যিক লেনদেনে, মিলনের অমলিন খুশিতে, অবারিত আন্তর প্রীতির পর্শে মেলার দিনটি মুখর হয়ে ওঠে। বৈশাখী মেলার প্রথম দিনেই শুরু হয় ব্যবসায়ীদের হালখাতার শুভ মহরত। প্রতিটি বিক্রয়-প্রতিষ্ঠানেই ক্রেতাদের মিষ্টান্ন সহযােগে আপ্যায়ন করা হয়। সর্বত্রই এক মধুর প্রীতিপূর্ণ পরিবেশ। এ ছাড়া দরিদ্র ভােজনে, নৃত্য-গীতে, সভা-সমিতিতে, আনন্দে-উৎসবে মেলা মহিমােজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বৈশাখী মেলা একদিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে। এ-মেলায় স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য, কারুপণ্য, লােকশিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত সামগ্রী, সকলপ্রকার হস্তশিল্পজাত ও মৃৎশিল্পজাত সামগ্রী, রন্ধনশিল্পজাত সামগ্রী, ফার্নিচারসহ নিত্য ব্যবহার্য আধুনিক সব ধরনের সামগ্রী পাওয়া যায়। এছাড়া শিশু-কিশােরদের খেলনা, মহিলাদের সাজ-সজ্জার সামগ্রী এবং বিভিন্ন লোকজ খাদ্যদ্রব্য যেমন: চিড়া, মুড়ি, খই, বাতাসা ইত্যাদি, বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি প্রভৃতির বৈচিত্র্যময় সমারােহ থাকে। মেলায় বিনােদনেরও ব্যবস্থা থাকে। মেলায় অনুষ্ঠিত হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লােগায়ক ও লােকনর্তকদের উপস্থিতি থাকে। তারা যাত্রা, পালাগান, কবিগান, জারিগান, গম্ভীরা গান, গাজীর গানসহ বিভিন্ন ধরনের লােকসঙ্গীত, বাউল-মারফতি-মুর্শিদি-ভাটিয়ালি ইত্যাদি বিভিন্ন আঞ্চলিক গান পরিবেশন করেন। লাইলী-মজনু, ইউসুফ-জোলেখা, রাধা-কৃষ্ণ প্রভৃতি আখ্যানও উপস্থাপিত হয়। চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, নাটক, পুতুলনাচ, নাগরদোলা, সার্কাস ইত্যাদি মেলার বিশেষ আর্কষণ। এছাড়া শিশু-কিশােরদের আকর্ষণের জন্য থাকে বায়স্কোপ। শহরাঞ্চলে নগর সংস্কৃতির আমেজে এখনও বৈশাখি মেলা বসে এবং এই মেলা বাঙালিদের কাছে এক অনাবিল মিলন মেলায় পরিণত হয়। বৈশাখি মেলা বাঙালির আন্দঘন লােকায়ত সংস্কৃতির ধারক।
মন্তব্যগুলো দেখান