ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য বাংলা রচনা প্রবন্ধ .ছাত্ররাই একটি দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের দিকেই তাকিয়ে থাকে দেশ ও সমাজ। তারা ভোরের শিশির, প্রভাতের আলোর মতো নবজীবনের দ্যুতি ছড়ায়। তারা তাদের কর্মে দেশ ও সমাজের সব অনাচার, অবিচার, অসঙ্গতি দূরে ঠেলে দেয়।
ভূমিকা
আমরা শক্তি আমরা বল
আমরা ছাত্রদল
মোদের পায়ের তলায় মূর্চে তুফান
ঊর্ধ্বে বিমান ঝড়-বাদল
আমরা ছাত্রদল। - কাজী নজরুল ইসলাম
ছাত্রজীবন
The students are the Future leaders of the country who could fulfill country's hopes being capable.
ছাত্রজীবনের গুরুত্ব
প্রতিটি মানুষের জন্যই ছাত্রজীবন গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানবজীবনের সর্বোৎকৃষ্ট সময়। এ সময়কে ভবিষৎ জীবনের বীজ বপনের সময় বলা হয়। এ সময়ে যেমন বীজ বপন করা হয়, ভবিষৎতে তেমন ফলই পাওয়া যায়। এ সময়ে নিয়মিত জ্ঞাণ অনুশীলন করলে ভবিষ্যৎ জীবন উজ্জ্বল ও সুখময় হয়ে ওঠে।
ছাত্রজীবন মানবজীবনের বীজ বপনকাল
ছাত্রজীবনের গুরুত্ব বিবেচনা করে এ সময়কে মানবজীবনের বীজ বপনকাল বলে অভিহিত করা হয়েছে। উপযুক্ত সময়ে বীজ বপন করে যথাযথ পরিচর্যা না করলে যেরূপ কৃষক ভালো শস্য উৎপাদন করতে পারে না, অনুরূপভাবে ছাত্রজীবনে উপযুক্ত শিক্ষার বীজ বপন করতে ব্যর্থ হলে ভবিষ্যৎ জীবনের উন্নতি ও সাফল্য লাভের আশা করা যায় না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চরিত্র ছাত্রজীবনে অর্জিত না হলে পরবর্তী জীবনে তা আর অর্জন করা সম্ভব হয় না। এ প্রসঙ্গে মনীষীদের বক্তব্য হচ্ছে-
আমরা সেই শিক্ষা চাই, যার দ্বারা চরিত্র গঠিত হয়, মনের বল বৃদ্ধি পায় এবং যার বলে মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।
বস্তুত, এরূপ কল্যাণকর শিক্ষালাভের প্রকৃষ্ট সময় ছাত্রজীবন।
জ্ঞানার্জন
ছাত্ৰনং অধ্যয়নং তপঃ কথাটি প্রত্যেক ছাত্রের অন্তরেই সদা জাগ্রত থাকা উচিত। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। জাতির উন্নতির মূলে রয়েছে শিক্ষা। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কঠোর পরিশ্রম এবং একনিষ্ঠ সাধনা দ্বারা জ্ঞানার্জন করতে হবে। নিজেকে অসৎ সঙ্গ থেকে সর্বদা মুক্ত রেখে যথারীতি পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়নের ব্যাপারে মনােযােগী হতে হবে।
ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়
জ্ঞান আহরণের জন্য প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে কঠোর পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী হওয়া জরুরি। পৃথিবীতে যারা অবিনশ্বর কীর্তি রেখে গেছেন, তাদের যে প্রতিভা ছিল তা প্রধানত কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়েরই ফলশ্রুতি। শ্রমবিমুখ প্রতিভা বলতে কিছু নেই- ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এ কথাটি মনে রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। কঠোর শ্রম ও অধ্যবসায় মানুষের বুদ্ধিকে শানিত করে, শিক্ষার্থীকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের গুণে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাও উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছতে পারে।
চরিত্র গঠন
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছে আগামীদিনের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব। অর্জিত জ্ঞানকে সার্থকভাবে প্রয়ােগের জন্য প্রয়ােজন উন্নত চরিত্র। তাই জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি উত্তম চরিত্র গঠনের ব্যাপারেও তাদেরকে মনােযােগী হতে হবে। সকল প্রকার সংকীর্ণতা, স্বার্থপরতা, পরনিন্দা, পরচর্চা এবং অন্যায়-অসত্যের ঊর্ধ্বে থেকে সামগ্রিক কল্যাণে আত্মনিয়ােগ করার ব্রত নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে যেতে হবে। ছাত্রজীবনে সময়নিষ্ঠতা প্রসঙ্গে কোনাে এক কবির দৃপ্ত উচ্চারণঃ
সময়, সমীর, নীর
নহে বৎস কভু স্থির।
সময় ও নদীর স্রোত কারাে জন্য অপেক্ষা করে না। এজন্য প্রত্যেক মানুষকে সময়নিষ্ঠ, নিয়মানুবর্তী হতে হয়। ছাত্রজীবন সময়নিষ্ঠতা ও নিয়মানুবর্তিতা অর্জনের প্রকৃষ্ট সময়। কেননা ছাত্রজীবনে এসব অর্জনের যতটা সুযােগ রয়েছে জীবনের অন্যান্য সময় তা নেই, তাই ছাত্রজীবনেই প্রত্যেককে সময়নিষ্ঠতা ও নিয়মানুবর্তিতা অর্জন করতে হয়। আর যারা তা অর্জন করতে পারে তারাই জীবনে সফলতা লাভ করতে পারে।
ছাত্রদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
সামাজিক ক্ষেত্রে ছাত্রসমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দায়িত্ব ও কর্তব্য
পারিবারিক ক্ষেত্রে দায়িত্ব ও কর্তব্য
দেশাত্মবোধ
নিয়মানুবর্তিতা
নৈতিক মূল্যবোধ ও শিষ্টাচার
ছাত্রজীবনে বন্ধু নির্বাচন
খেলার এবং স্কুলের বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ছাত্রদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। বিনয়ী, ভদ্র ও পাঠ্যানুরাগী বন্ধুর সাথে মিশলে ভালাে ছাত্র হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। আবার খারাপ ছেলেদের সাথে মিশলে কিংবা নিজ বয়সের চেয়ে বেশি বয়সের কোনাে হঁচড়ে পাকা ছেলেদের সাথে মিশলে বখে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। তাই বন্ধু নির্বাচনে ছাত্রদের সতর্ক হওয়া উচিত। সৎসঙ্গে থাকলে সৎচরিত্র ও সৎগুণাবলি অর্জন করা যায়।
ছাত্রজীবনে স্বাস্থ্যরক্ষা
ছাত্রজীবনে শুধু পড়াশােনা করলেই চলে না। পাশাপাশি শরীরের প্রতিও যত্নবান হতে হয়, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হয়। কারণ দুর্বল রােগা ছাত্র অধিক পরিশ্রম করতে পারে না। স্বাস্থ্যবান হতে হলে নিয়মিত খেলাধুলা ও ব্যায়াম করা অত্যাবশ্যক। দেহ সুস্থ ও সবল রাখার জন্য পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। নিয়মিত বিশ্রাম নিতে ও ঘুমাতে হয়। কারণ, সুস্বাস্থ্যের মধ্যেই সুস্থ মন বিরাজ করে। সুস্থ মনই সুশিক্ষা গ্রহণে সক্ষম।
জীবনের লক্ষ্য
ছাত্রজীবনের অব্যবহিত পরেই শুরু হয় কর্মজীবন। আসলে ছাত্রজীবন হলাে বৃহত্তর কর্মজীবনের প্রস্তুতিপর্ব। এসময় ভবিষ্যৎ জীবনের লক্ষ্য স্থির করে নিতে হয়। তাই ছাত্রজীবনে কেবল পড়াশােনা নিয়ে ব্যস্ত থেকে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উদাসীন থাকলে চলবে না। লক্ষ্যহীনভাবে বিদ্যাচর্চা করলে কর্মজীবনে তা খুব একটি সুফল বয়ে আনতে পারে না। তাই ছাত্রজীবনে লক্ষ্য স্থির করে শিক্ষালাভ করলে ভবিষ্যৎ জীবন সার্থক ও সুন্দর হয়।
nice
ReplyDeletelogin <01732280873>
ReplyDeletelogin <01732280973>
ReplyDeletelogin <017325807
ReplyDelete873>