ইসলাম ও জীবনকুরআন

সূরা লাহাব বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও শানে নূযুল – Surah Al-Lahab

4.6/5 - (14 votes)

সূরা লাহাব পবিত্র কুরআনের ১১১ তম সূরা। সূরাটির আয়াত সংখ্যা ৫ টি।  সূরাটি মক্কায় নাজিল হয়েছিল তাই এটি মাক্কী সূরার শ্রেণীভুক্ত। সূরাটি আবদুল মোত্তালিবের অন্যতম সন্তান আবু লাহাবের নামে নামকরণ করা হয়।  আবু লাহাবের আসল নাম ছিল আবদুল ওয্‌যা। গৌরবর্ণের কারণে তার ডাক নাম হয়ে যায় আবু লাহাব। পবিত্র কুরআনে তার আসল নামটি বর্জন করা হয়েছে। “আবু লাহাব” নামের সাথে জাহান্নামের সাথে বেশি মিল রয়েছে। “লাহাব” শব্দের অর্থ হলো “অগ্নিশিখা” আর জাহান্নামে রয়েছে অসংখ্য অগ্নিশিখা।

আবু লাহাব ইসলামের ঘোর শত্রু ছিল। রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) এর কট্টর শত্রু। রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) যখন ইসলাম প্রচার করতেন, তখন আবু লাহাব সাথে সাথে গিয়ে রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) কে মিথ্যাবাদী বলে প্রচার করতো।

← পূর্ববর্তী সূরা: সূরা নাসর পরবর্তী সূরা:সূরা ইখলাস

শানে নুযূল

সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়।  বুখারী ও মুসলিম এর বর্ণনা অনুযায়ী, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) এর আল্লাহ একটি আয়াত  নাজিল হলে বলা হয় “আর আপনি আপনার নিকটজনদেরকে ভীতি প্রদর্শন করুন” । এরপর রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) সাফা পাহাড়ে গেলেন এবং কোরাইশ গোত্রের উদ্দেশে নাম ধরে ধরে ডাক দিলেন। তৎকালীন আরবে এইভাবে ডাক দেয়া মানে বিপদের লক্ষণ বলে মনে করা হতো। ডাক শুনে কোরাইশ গোত্রের সবাই সাফা পাহাড়ের পাদদেশে উপস্থিত হল।

এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন “আমি যদি তোমাদেরকে বলি একদল শত্রুবাহিনী আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে তোমাদের দিকে এবং সকাল বিকাল যেকোনো সময় তোমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে, তাহলে কি তোমরা আমার কথা বিশ্বাস করবে? সবাই প্রতিউত্তরে বললোঃ “হ্যা, নিশ্চই বিশ্বাস করবো।” এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ “আমি এক ভীষণ আযাব (শিরক ও কুফরের কারণে আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে নির্ধারিত) সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করছি।” এ কথা শুনে আবু লাহাব বললোঃ “ধ্বংস হও তুমি, এ কথা বলার জন্যেই কি আমাদের কে ডেকেছো?” এরপর তারা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর উপর পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করলো। এর প্রেক্ষিতে আল্লাহ সূরা লাহাব অবতীর্ণ করেন। 

সূরা লাহাব বাংলা উচ্চারণ

(1
تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ
তাব্বাত ইয়াদ~আবি লাহাবিও ওয়া তাব্ব।
আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে,
(2
مَا أَغْنَىٰ عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ
মা~আগনা-‘আনহু মা-লুহু ওয়ামা-কাসাব্।
কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে।
(3
سَيَصْلَىٰ نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ
সাইয়াছলা-না-রান যা-তা লাহাবিও।
সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে
(4
وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ
ওয়ামরাআতুহু; হাম্মা-লাতাল হাত্বাব।
এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে,
(5
فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ
ফী-জ্বীদিহা- হ্বাবলুম মিম মাসাদ্।
তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে।

প্রিয় পাঠক, আজ এ পর্যন্তই। লিখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুন সুস্থ রাখুন এবং বেশি করে আল্লাহর ইবাদাত ও শুকরিয়া করার তৈফিক দান করুন। আমিন! 

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button