“মধুতে রয়েছে রােগ নিরাময়ের গুণাবলী” এ বিষয়ে কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান কী বলে
মৌমাছি নানা প্রকার ফুল ও ফল হতে রস আহরণ করে এবং এগুলাে দিয়ে দেহের অভ্যন্তরে আত্তিকরণে মধু তৈরী করে। এরপর এই মধু চাকের মােম কোষে জমা করে রাখে। মাত্র দুই শতাব্দী পূর্বে মানুষ এ তথ্য জানতে পেরেছে যে, মৌমাছির পেট হতেই মধু পাওয়া যায়। অথচ ১৪০০ বছর পূর্বে কুরআনের নিম্নলিখিত আয়াতে এ প্রকৃত ঘটনাটি উল্লেখ করেছে।
উহার (মৌমাছির) উদর হতে বের হয় নানা বর্ণের পানীয় যার মধ্যে রয়েছে মানুষের জন্য আরােগ্য। (সূরা আল নাহল – ১৬ : আয়াত ৬৯)
এখন আমরা জানতে পেরেছি যে, মধুর রােগ নিরাময়ের ও লঘু জীবাণু নাশক গুণাবলী রয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে রাশিয়ানরা ক্ষত ঢাকার জন্য মধু ব্যবহার করত। মধু ক্ষতটিতে আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং খুবই কম ক্ষতচিহ্নযুক্ত চামড়া থেকে যায়। কারণ মধুর ঘনত্বের কারণে ক্ষত স্থানে কোন ছত্রাক বা জীবাণু জন্মাতে পারে না। ইংল্যান্ডের নার্সিং হােমের অনারােগ্য বক্ষব্যাধি ও আলঝাইমারস (Alzheimer’s) রােগে আক্রান্ত ২২ জন রােগীরও নাটকীয় উন্নতি দেখা যায়। জীবাণু প্রতিরােধকল্পে মৌচাক বন্ধ করার জন্য মৌমাছিরা যে প্রপলিস (propolis) নামক এক প্রকার বস্তু উৎপন্ন করে। সন্যাসিনী সিস্টার ক্যারােল (Sister Carole) এই প্রপলিস (Propolis) দ্রব্যটির সাহায্যেই এই সকল রােগীদের চিকিৎসা করেছিলেন। যদি কোন ব্যক্তি বিশেষ কোন উদ্ভিদের কারণে এলার্জিতে ভােগেন তবে তাকে ঐ উদ্ভিদের মধু পান করালে তার দেহে ঐ এলার্জির প্রতিরােধ ক্ষমতা সৃষ্টি হবে।
মধুতে আরও রয়েছে ফ্রকটোজ (Fructose) এবং ভিটামিন ‘কে’। মধু, তার উৎস ও গুণাগুণ সম্পর্কে কুরআনে ধারণকৃত এই জ্ঞান, কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার বহু শতাব্দী পরে আবিষ্কৃত হয়েছে।