Uncategorized

একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি কর্মপরিকল্পনা।

 একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি কর্মপরিকল্পনা।


একটি দেশের উন্নতি সে দেশের নাগরিকের যোগ্যতা ও দক্ষতার উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল ।একজন সুনাগরিক দেশের জন্য সম্পদসরূপ।

তাই আমি মনে করি নিজেকে একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নিচের কর্মপরিকল্পনা গুলো থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। 

নিজেকে একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রথম যে জিনিসটির প্রয়োজন তা হলো বুদ্ধি। বুদ্ধি হল একজন সুনাগরিকের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। আর এই বুদ্ধি অর্জন করা যায় একমাত্র শিক্ষা লাভ করে। বুদ্ধিমান নাগরিক উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন, দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা,  রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজে ভূমিকা রাখতে পারে।

একজন সুনাগরিক অবশ্যই হতে হবে আত্মসংযমী। আত্মসংযম নাগরিককে অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখে। দেশ ও সমাজের স্বার্থে কাজ করতে ও নিয়ম মেনে চলতে অনুপ্রাণিত করে। তাই আত্মসংযম ছাড়া সুনাগরিক হওয়া সম্ভব নয়। আত্মসংযমী নাগরিক নিয়ম-কানুন মেনে চলে, অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করে, দেশের স্বার্থকে নিজের স্বার্থের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়, অন্যায় কাজ ও দলীয় স্বার্থপরতা থেকে বিরত থাকে এবং রাষ্ট্রের সার্বিক মঙ্গলের জন্য কাজ করে। 

এরপর যে গুণটি থাকতে হবে তা হলো বিবেক-বিচার। ভালো-মন্দের জ্ঞান ও দায়িত্ব-কর্তব্যের জ্ঞানকে বিবেক-বিচার বলে। একজন সুনাগরিকের শুধু বুদ্ধিমান ও আত্মসংযম হলে চলবে না।  যে কোন কাজ সম্পন্ন করতে হলে তাকে ভাবতে হবে। এটি ভাল না মন্দ। মন্দ কাজ পরিহার করে ভালো কাজটি করতে হবে। এছাড়া সমাজ বা রাষ্ট্রের কোন সমস্যা সমাধান করতে হলে নাগরিককে তার বিবেক দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিবেক হল সুনাগরিকের জাগ্রত শক্তি।  

উপরিউক্ত গুণাবলী অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোমার যায়। কিন্তু আমি মনে করি এই তিনটি গুনের সমন্বয় ছাড়াও আরো কিছু গুণ থাকা প্রয়োজন।  যেমন:

ক) নাগরিকের দায়িত্ব কর্তব্য : দেশের নাগরিক হিসেবে, রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের কিছু দায়িত্ব কর্তব্য থাকে। যেমন: রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য, রাষ্ট্রের আইন কানুন মেনে চলা, ভোটাধিকার প্রয়োগ করা, নিয়মিত কর আদায় করা, সরকারি কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা, সন্তানদের শিক্ষাদান করা.

খ) নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা: একজন সুনাগরিক হিসাবে আমাদের একটি প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো সরকারের পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলো সুনিশ্চিত করা। দেশের নাগরিকদের একদিকে যেমন হতে হবে রাষ্ট্রের আইন কানুন এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ঠিক তেমনি হতে হবে নাগরিকদের প্রতি কর্তব্য পরায়ন। তাই আমি মনে করি একজন সুনাগরিককে অবশ্যই অন্য নাগরিকদের অধিকার আদায়ের জন্য সচেষ্ট হওয়া উচিত।


 এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন। 

Google News

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

15 Comments

  1. ভাই কিছু বলার নাই। আর কটা দিন পরে দিলেও পারতেন।
    বাচ্চাদের প্রয়োজনের সময় যদি না দেন এখন দিলে কি হবে।
    একটু বদলান ভাই

  2. অনেক late
    কিন্তু আপনাদের কিছু বলে লাভ নেই।
    স্কুল থেকেই অনেক দেরি করে এসাইনমেনট প্রশ্ন দিয়েছে ।
    পরের বার একটু আগে এসাইনমেনটের উত্তর দিলে ভালো হয়।

  3. এই এডমিন আপনি আপনার এই ওয়েবসাইটে এগুলো দিচ্ছেন কেন?সব উত্তর দাওয়া বন্ধ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button