রোগা হওয়ার জন্য ডায়েটের কোন বিকল্প নেই। তবে শুধু ডায়েটের উপর ভরসা করে রোগা হওয়ার চেষ্টা না করাই ভালো কারণ আপনি কখন খাচ্ছেন, সেটাও জরুরি। শুধু কম খাওয়াই নয়, মেদ কমানোর জন্য খাওয়ার সময়ও গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যায়াম, ডায়েটিং, খাবার কাটা এগুলো ওজন কমানোর কিছু অস্ত্র। আপনি যদি এই নিয়মগুলি ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করেন তবে স্লিমিংয়ের পথটি এতটা কঠিন নয়। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রতিদিন এই নিয়মগুলি মেনে চলার পাশাপাশি আরও কিছু জিনিস রয়েছে যা মেদ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয়। শুধু কম খাওয়াই নয়, রোগা হওয়ার জন্য খাওয়ার সময়ও গুরুত্বপূর্ণ।
সকালের নাস্তা হবে সবচেয়ে ভারী। দুপুরের খাবার অপেক্ষাকৃত হালকা। রাতে সর্বনিম্ন। এটি পুষ্টির অন্যতম মন্ত্র। চিকিত্সকরা সবসময় বলেছেন যে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়া করা প্রয়োজন। সঠিক সময়ে খাওয়া মানসিক চাপ কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
সকালের নাস্তা এবং রাতের খাবারের মধ্যে কমপক্ষে ১২ ঘন্টার ব্যবধান থাকা উচিত। অনেকের সকাল দেরিতে শুরু হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে এই ব্যবধান বজায় রাখা সম্ভব নয়। তাই সকাল ৭টার আগে নাস্তা সেরে নেওয়া ভালো। এতে ভারসাম্য বজায় থাকবে। শরীরও সুস্থ থাকবে। দুপুরের খাবার হজম হতে প্রায় চার ঘণ্টা সময় লাগে। তাই সকালের নাস্তার অন্তত চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা পর দুপুরের খাবার খাওয়া ভালো। সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের মধ্যে পর্যাপ্ত সময় না থাকলে বদহজমের মতো কিছু সমস্যা হতে পারে।
আবার দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার খাওয়ার মধ্যে আট ঘণ্টার ব্যবধান থাকতে হবে। এ সময় দীর্ঘ হলে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। রাতের খাবার হালকা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। রাতে হালকা খাবার স্বাস্থ্য বজায় রাখার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।