
যখন মরুভূমির প্রাণীদের কথা আসে, বেশিরভাগ মানুষ উটের কথা বলে। উট একটি বিস্ময়কর সৃষ্টি। উটকে মরুভুমির জাহাজ বলা হয়। এটি অত্যন্ত কঠোর পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে।
উট সম্পর্কে জানার পূর্বে চলুন একটু আল-কুরআনের দিকে নজর দেই। সূরা আল গাশিয়া’র ১৭ নং আয়াতে, আল্লাহ্ বলেনঃ “তারা কি উটের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে?”
আল্লাহর এত সৃষ্টি থাকতে কেনইবা উটের কথা বললেন? বিষয়টিকে সহজভাবে নেওয়ার কোন কারণ নেই। উট আসলেই আল্লাহ্র এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই রহস্যময় প্রাণীর অজানা তথ্যগুলো।
১। পৃথিবীতে এক কুজ বিশিষ্ট উট ও দুই কুজ বিশিষ্ট উট এই দুই জাতের উট রয়েছে।
২। উটের চোখের পাতার তিনটি স্তর রয়েছে। যার সাহায্যে বালু ঝর থেকে চোখকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।
৩। উট কাঁটাযুক্ত গাছ খেতে পারে কারণ উটের রয়েছে সরু ঠোঁট। যা অন্যকোন প্রাণীর নেই।
৪। উতপ্ত গরম বালুতেও উট খুব আরামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে পারে।
৫। উট না খেয়ে ছয় মাস পর্যন্ত থাকতে পারে কারণ এরা শরীরে চর্বি সঞ্চয় করে রাখে এবংচর্বি থেকে শক্তি যোগায়।
৬। উট একবারে ৪০ গ্যালন পর্যন্ত পানি পান করতে পারে।
৭। উট ১৭০-২৭০ কেজি পর্যন্ত ভর নিয়েও হাসিমুখে চলাফেরা করে।
৮। উট প্রকৃতির এক মহাবিস্ময়, এটি ৫৩ ডিগ্রি গরম এবং মাইনাস-১ ডিগ্রি শীতেও টিকে থাকে।
৯। উট সাধারণত ৪০-৫০ বছর বেঁচে থাকে।
![]() |
শুধু আরবী ভাষাতেই উটের জন্য ১৬০ টিরও বেশি শব্দ রয়েছে। |
১০। উটের চ্যাপ্টা পায়ের তালু তাকে বালুতে তলিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
১১। উট প্রতি ঘণ্টায় ৪০ মাইল বেগে দৌড়াতে পারে।
১২। পূর্ণবয়স্ক উট সাধারণত ৭ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হয়।
১৩। উটকে প্রথম ব্যবহার করা হয় কারকারের যুদ্ধে ৮৫৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
১৪। শুধু আরবী ভাষাতেই উটের জন্য ১৬০ টিরও বেশি শব্দ রয়েছে।
১৫। উচ্চ লবণাক্ত জাতীয় খাবার বেশী পছন্দ করে।
১৬। উটের পাকস্থলী ও গরুর মত তিন প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট এবং এরাও জাবড় কাটে
১৭। উটের মল এত শুকনা যে তা দিয়ে আগুন জালানো যায়