প্রিয় ৬ ৭ ৮ ৯ শ্রেণির শিক্ষার্থীর আজ বই পড়া বা বই পড়ার আনন্দ অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করব।
বাংলা ২ য় পত্রের অনুচ্ছেদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই দেই দিক বিবেচনা করে বই পড়া বা বই পড়ার আনন্দ অনুচ্ছেদটি তোমাদের জন্য বিভিন্ন বই থেকে সংগ্রহ করে লিখা হয়েছে।
বই পড়া বা বই পড়ার আনন্দ
বই চির অমলিন আনন্দের উৎস। বই মানুষের দুর্বল চিত্তকে সবল করে সংকীর্ণ হৃদয়কে উদার করে, পৃথিবীর নিরাসক্ত সকল মানুষকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়। বিশ্বের মহামূল্যবান গ্রন্থগুলাে মানুষের জ্ঞানবিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য সাধনার নির্বাক সাক্ষী। বই মানুষকে জ্ঞান দেয়, মানুষকে যােগ্য করে তােলে। আধুনিক জগতে সমগ্র বিশ্বকে উপলব্ধি করতে হলে সভ্য মানুষের বইয়ের অবারিত সঙ্গ না হলে চলে না। বই পড়ার মানুষকে আনন্দদানের পাশাপাশি দিতে পারে সফলতার ছোঁয়া। আমাদের মননশক্তি ও হৃদয়বৃত্তিকে সম্পূর্ণভাবে জাগ্রত করতে পারি বই পড়ার মাধ্যমে। ইতিহাস, ভূগােল, সাহিত্য, দর্শন প্রভৃতি বিষয় অধ্যয়নের মাধ্যমে নিজের মনেই বিশ্ব পরিমণ্ডল তৈরি করার উপায় হচ্ছে বই । তাই আধুনিক ও শিক্ষিত প্রতিটি মানুষই গ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে বিশ্বচেতনায় উজ্জ্বল। মানুষ মানুষের শত্রু হতে পারে, কিন্তু বই কখনাে মানুষের সাথে শত্রুতা করতে পারে না। যে জাতির জ্ঞানের ভান্ডার শূন্য, সে জাতির ধনের ভান্ডারও শূন্য। তাই জ্ঞানার্জন ও ধনার্জনের জন্য বই পড়া প্রয়ােজন। বই পড়ার আনন্দ সার্থক হয়ে ওঠে ব্যক্তির সাথে বইয়ের সম্পৃক্ততায়। বইয়ের নির্দেশনায় মানুষ খুঁজে পায় সংগতি ও সামঞ্জস্য, অগ্রগমনের পন্থা। এটি মানবজীবনের অপূর্ণতা দূর করতে ভূমিকা পালন করে। বইয়ের শব্দহীন ভাষা মানুষের মানবাত্মার বিকাশ লাভের জন্য চাই উপযুক্ত পরিবেশ, উপযুক্ত সঙ্গ ও উপযুক্ত বই। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা গড়ে তুলতে পারি সুন্দর ভবিষ্যৎ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।