অনলাইন ডেস্কঃ শুরুতেই সঠিক পরিকল্পনা করে চলতে পারলে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কার কাজে দীর্ঘসূত্রতা হতো না বলে মন্তব্য করেছেন প্রকল্প পরিচালক শামছুল আলম। নতুন পরিকল্পনায় আগামী বছরের জুলাইয়ে শেষ হবে সংস্কার কাজ। সে হিসেবে ৫ বছর এই স্টেডিয়ামে বন্ধ থাকবে সব ধরনের খেলাধুলা।
একটি স্টেডয়াম সংস্কারে যদি লাগে ৫ বছর, তাহলে নতুন করে নির্মাণে লাগতে পারে কতদিন? বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম নিয়ে এমন প্রশ্ন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কার্যসূচিতে সংযুক্ত করা যেতেই পারে! কিন্তু সমাধানে তার যে কোনো সঠিক উত্তর থাকবে না, সেটি বলে দেয়া যায়।
প্রায় ১০০ কোটি টাকা ডিপিপি সেট করে ২০১৯ সালের জুন-জুলাইয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কার শুরু করে এনএসসি। এর মাঝে কয়েক দফা তারিখ দিয়েও কাজ শেষ করতে পারেনি। এর মাঝে আবারও বাড়ানো হয়েছে সংস্কারের পরিধি। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবেই এমন দীর্ঘসূত্রতা বলে এবার মেনে নিয়েছে ক্রীড়া পরিষদ।
এ দিকে নতুন পরিকল্পনায় আবারও বেড়েছে কাজের বাজেট। এই অঙ্কটা এখন ১৬০ কোটির ঘরে। সংশোধিত ডিপিপি জমা পড়েছে মন্ত্রণালয়ে। আগামী মাসে একনেকে পাস হলে অর্থ ছাড় করে চলবে পরবর্তী কার্যক্রম। এবার আর বিলম্ব হবে না আশ্বস্ত করে ২০২৫ সালের জুলাইয়ে কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এনএসসি।
এর আগে, ড্রেসিং রুম, মাঠ ব্যবস্থাপনাসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে সংস্কার কাজে ভুল পরিলক্ষিত হয়। সে জায়গাগুলোয় এবার সচেতন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কোনো ছাড় না দিয়ে সর্বোচ্চ মান ধরে রাখার আশ্বাস প্রকল্প পরিচালকের।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রকল্প পরিচালক শামছুল আলম বলেন, ‘প্রথমেই পরিকল্পনা করতে পারলে অবশ্যই ভালো হতো। যেহেতু পরিকল্পনা সেভাবে ছিল না, সেজন্য আমাদের এক বছর সময় বেশি লাগছে। এটি স্বীকার করতে দোষ নেই। আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনার বিষয়ে একনেকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতি পেলে আমরা আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে পারব।’
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কার কাজ চলমান থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এখানে বন্ধ জাতীয় দলের খেলা। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনার বাংলাদেশ আসার কথা থাকলেও শুধুমাত্র স্টেডিয়াম প্রস্তুত না থাকায় নষ্ট হয় সে সম্ভাবনাও।
সূত্রঃ সময় সংবাদ