স্বাস্থ্য কথা

ঘাম দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে দুর্গন্ধ থেকে মুক্তির উপায়?

ঘাম থেকে হওয়া দুর্গন্ধ কমানোর জন্য গায়ে ডিয়োডোর‌্যান্ট বা অ্যান্টিপার্সপির‍্যান্ট মাখেন অনেকেই। কিন্তু ঘাম যে আসলে শরীরের জন্যে ভাল, তা জানেন না অনেকেই।

4.9/5 - (10 votes)

অনেকের কাজের আগে বা গোসলের পরে ডিওডোরেন্ট লাগানোর অভ্যাস আছে। অনেকে শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে পারফিউম ব্যবহার করেন। স্নানের পরে ডিওডোরেন্ট প্রয়োগ করা প্রায় অনেকের কাছে নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এই অভ্যাস নির্ভর করে ব্যক্তিগত রুচি ও পছন্দের ওপর। প্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডাক্তার নিনা বট বলেছেন, “সুগন্ধি ব্যবহার করার বিষয়ে একজন ব্যক্তির স্বাদ এবং পছন্দ ভিন্ন হতে পারে। তবে এটি কখনই দাঁত ব্রাশ করা বা মুখ ধোয়ার মতো নিয়মের পর্যায়ে পড়তে পারে না।

নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক চিকিৎসক জশুয়া জেসনার বলেন, “আমরা এমন একটি সমাজে বাস করি, যেখানে গায়ের দুর্গন্ধ, ঘামে ভেজা পোশাক নিয়ে নানা রকম ছুৎমার্গ রয়েছে। তাই সমাজের চাপে পড়েই সুগন্ধি ব্যবহার করেন অনেকে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, ডিয়োডোর‌্যান্ট কিন্তু ঘামের পরিমাণে কোনও হেরফের ঘটাতে পারে না। বরং অ্যান্টিপার্সপির‍্যান্ট-জাতীয় সুগন্ধি ত্বকের ভিজে ভাব কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারে।”

চিকিৎসকেরা বলছেন, ঘাম নির্গত হওয়ারও তো একটা কারণ রয়েছে। ঘামের নির্গমন দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। অনেকেই হয়তো জানেন না, ঘামের কিন্তু নিজস্ব কোনও গন্ধ নেই। ত্বকে থাকা ব্যাক্টেরিয়া ঘামের সঙ্গে মিশলে গায়ে দুর্গন্ধ হয়। তাই যাঁদের অতিরিক্ত ঘাম হয়, তাঁরা রাতে ঘুমোনোর আগে গায়ে অ্যান্টিপার্সপির‍্যান্ট-জাতীয় সুগন্ধি মেখে রাখতে পারেন। কিন্তু ঘামের পরিমাণ কম হলে এই টোটকার প্রয়োজন নেই। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে নিয়মিত স্নান করলে এবং কাচা পোশাক পরলেই অনেকটা কাজ হয়ে যায়।

সূত্রঃ ইন্টারনেট।

Source
anandabazar.com

Health Desk

সিনিয়র স্টাফ। স্বাস্থ্য বিষয়ক নানা সমস্যা ও হেলথ টিপস নিয়ে নিয়মিত লিখছি। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।

Related Articles

Back to top button