সুশিক্ষিত লােক মাত্রই স্বশিক্ষিত
ভাবসম্প্রসারণ সুশিক্ষিত লােক মাত্রই স্বশিক্ষিত অথবা, জ্ঞানশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ শ্রেণী। SSC HSC JSC PSC
মূলভাব
একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলেই কাউকে সুশিক্ষিত বলা যায় না। সুশিক্ষিত হতে হলে সৃজনশীল জ্ঞান এবং প্রয়ােগ দক্ষতা অর্জন করতে হয়।
সম্প্রসারিত ভাব
শিক্ষা মানুষকে আলােকিত করে। তার চেতনাকে শানিত করে, ন্যায়-অন্যায়বােধ সৃষ্টি করে। আর এ সবকিছুই মানুষকে মনুষ্যত্বসম্পন্ন ব্যক্তিত্বে পরিণত করে। সাধারণভাবে শিক্ষা বলতে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেই বুঝি। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই মানবজীবনের একমাত্র শিক্ষা নয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিদের আচার-আচরণ ও কর্মপ্রণালি অনেক সময় বুদ্ধি-বিবেকহীন সাধারণ মানুষের চেয়েও হীন, ক্ষেত্রবিশেষে পশুর মতাে হয়ে থাকে। এজন্য মানুষমাত্রেরই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে হয়। আর এজন্য প্রয়ােজন হয় স্বীয় উদ্যোগ, প্রচেষ্টা ও নিরলস সাধনা। কেননা নিজস্ব বুদ্ধি-বিবেক প্রয়ােগ করে প্রকৃতি ও পরিবেশ থেকে শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করতে না পারলে কেউ সুশিক্ষিত হতে পারে না।
একথা অনস্বীকার্য যে, বর্তমান সময়ের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা মূলত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। এ ধরনের শিক্ষায় পরীক্ষা পাশ কিংবা কতকগুলাে সনদ লাভ করা গেলেও আলােকিত মানুষ হওয়া যায় না। এ ধরনের শিক্ষা প্রকৃত অর্থে জ্ঞানার্জনের জন্য নয় বরং জীবিকা অর্জনের জন্যে। তাই প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় উচ্চ ডিগ্রি লাভ করলেই সুশিক্ষিত হওয়া যায় না। আমাদের সমাজে এমন অনেকে আছেন যারা প্রাতিষ্ঠানিক কোনাে শিক্ষা লাভ না করেই প্রকৃতি ও পরিবেশ এবং সংগ্রামময় জীবন থেকে অনেক কিছু শিখে স্বশিক্ষিত হয়েছেন। তাঁদের জ্ঞান, দর্শন, আচার-আচরণ ও শিক্ষা মানুষকে মুগ্ধ করে। তারা তাদের জ্ঞানের আলােয় চারিদিক আলােকিত করে তােলেন। তাই আমাদের সকলের উচিত সার্টিফিকেট লাভের শিক্ষায় পরিণত না হয়ে জ্ঞানার্জনের শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া।
মন্তব্য
জীবনের পরিপূর্ণ সত্য উপলব্ধি করার জন্য দরকার সুশিক্ষা। সুশিক্ষাই পারে মানুষের আত্মিক উন্নতি সাধন করতে।
ভালো লেখা
আপনাকে ধন্যবাদ ।