ছবিঃ iStockphoto |
সূরা আল-লাইল (আরবিঃ النَّاسِ) পবিত্র কুরআন শরিফের ৯২ তম সূরা। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়। আয়াত সংখ্যা ২১। লাইল শব্দের অর্থ হল “রাত”। উক্ত সূরাটিতে মানুষের কর্ম প্রচেষ্টার কথা বলা হয়েছে এবং মহান আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ ঈমান স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। সেই সাথে আল্লাহকে রাজি খুশী করার জন্য গরিব দুঃখীদের মাঝে দান খয়রাত করা, উদার হওয়া, মহানুভব হওয়া ইত্যাদি মানবিক গুণাবলী অর্জন করার কথা বলা হয়েছে।
← পূর্ববর্তী সূরা : সূরা আত তারিক / তারিক্ব
পরবর্তী সূরা : → সূরা আদ-দুহা
সূরা আল-লাইল আরবি, বাংলা উচ্চারণ অর্থ অনুবাদ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1
وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى
ওয়াল্লাইলি ইযা-ইয়াগশা-
শপথ রাতের যখন ওটা আচ্ছন্ন করে
(2
وَالنَّهَارِ إِذَا تَجَلَّى
ওয়ান্নাহা-রি ইযা-তাজাল্লা-।
শপথ দিনের যখন ওটা উদ্ভাসিত করে,
(3
وَمَا خَلَقَ الذَّكَرَ وَالْأُنثَى
ওয়ামা-খালাকায যাকারা ওয়াল উনছা।
এবং শপথ নর ও নারীর যা তিনি সৃষ্টি করেছেন।
(4
إِنَّ سَعْيَكُمْ لَشَتَّى
ইন্না ছা‘ইয়াকুম লাশাত্তা-।
অবশ্যই তোমাদের কর্মপ্রচেষ্টা বিভিন্ন মুখী,
(5
فَأَمَّا مَن أَعْطَى وَاتَّقَى
ফাআম্মা-মান আ‘তা-ওয়াত্তাকা-।
সুতরাং কেহ দান করলে, সংযত হলে –
(6
وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى
ওয়া সাদ্দাকা বিলহুছনা-।
এবং সদ্বিষয়কে সত্যজ্ঞান করলে –
(7
فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى
ফাছানুইয়াছছিরুহূলিল ইউছরা-।
অচিরেই আমি তার জন্য সুগম করে দিব সহজ পথ।
(8
وَأَمَّا مَن بَخِلَ وَاسْتَغْنَى
ওয়া আম্মা-মাম বাখিলা ওয়াছতাগনা-।
পক্ষান্তরে কেহ কার্পণ্য করলে ও নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করলে –
(9
وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى
ওয়া কাযযাবা বিল হুছনা-।
আর যা উত্তম তা অস্বীকার করলে –
(10
فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى
ফাছানুইয়াছছিরুহূলিল‘উছরা-।
অচিরেই তার জন্য আমি সুগম করে দিব কঠোর পরিণামের পথ –
(11
وَمَا يُغْنِي عَنْهُ مَالُهُ إِذَا تَرَدَّى
ওয়ামা-ইউগনী ‘আনহু মা-লুহূইযা-তারাদ্দা-।
এবং তার সম্পদ তার কোন কাজে আসবেনা যখন সে ধ্বংস হবে।
(12
إِنَّ عَلَيْنَا لَلْهُدَى
ইন্না ‘আলাইনা-লালহুদা-।
আমার কাজতো শুধু পথ নির্দেশ করা,
(13
وَإِنَّ لَنَا لَلْآخِرَةَ وَالْأُولَى
ওয়া ইন্না লানা-লালআ-খিরাতা ওয়ালঊলা-।
আমিই মালিক পরলোকের ও ইহলোকের।
(14
فَأَنذَرْتُكُمْ نَارًا تَلَظَّى
ফাআনযারতুকুম না-রান তালাজ্জা-।
আমি তোমাদেরকে জাহান্নামের লেলিহান আগুন হতে সতর্ক করে দিয়েছি।
(15
لَا يَصْلَاهَا إِلَّا الْأَشْقَى
লা-ইয়াসলা-হাইল্লাল আশকা-
তাতে প্রবেশ করবে সে’ই যে নিতান্ত হতভাগা –
(16
الَّذِي كَذَّبَ وَتَوَلَّى
আল্লাযী কাযযাবা ওয়া তাওয়াল্লা-।
যে অসত্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।
(17
وَسَيُجَنَّبُهَا الْأَتْقَى
ওয়া ছাইউজান্নাবুহাল আতকা-।
আর ওটা হতে রক্ষা পাবে সেই পরম মুত্তাকী –
(18
الَّذِي يُؤْتِي مَالَهُ يَتَزَكَّى
আল্লাযী ইউ’তী মা-লাহূইয়াতাঝাক্কা-।
যে স্বীয় সম্পদ দান করে আত্মশুদ্ধির উদ্দেশে,
(19
وَمَا لِأَحَدٍ عِندَهُ مِن نِّعْمَةٍ تُجْزَى
ওয়ামা-লিআহাদিন ‘ইনদাহূমিন নি‘মাতিন তুজঝা।
এবং তার প্রতি কারও অনুগ্রহের প্রতিদান হিসাবে নয়,
(20
إِلَّا ابْتِغَاء وَجْهِ رَبِّهِ الْأَعْلَى
ইল্লাবতিগাআ ওয়াজহি রাব্বিহিল আ‘লা-।
বরং শুধু তার মহান রবের সন্তোষ লাভের প্রত্যাশায়,
(21
وَلَسَوْفَ يَرْضَى
ওয়া লাছাওফা ইয়ারদা-।
সেতো অচিরেই সন্তোষ লাভ করবে।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।