পাখপাখালির ডাক, মৃদু শব্দ, সংগীতের সুর শ্রুতিমধুর, যানবাহনের হর্নের আওয়াজ, রেডিয়াে-টেলিভিশনের উচ্চ শব্দ, কলকারখানার সাইরেন, মাইকের আওয়াজ, উড়ােজাহাজের শব্দ ইত্যাদি আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সামাজিক পরিবেশকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কারণ এ শব্দগুলাে অতিমাত্রার ফলে শব্দদূষণ ঘটছে। শব্দদূষণে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। শব্দদূষণের ফলে শিশু ও বড়দের পড়াশােনার ক্ষতি হচ্ছে, মানুষের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে মানুষ। মানসিক অবসাদগ্রস্ত হচ্ছে। শব্দদূষণের ফলে বিভিন্ন রােগেরও সৃষ্টি হচ্ছে। উচ্চ শব্দযুক্ত শিল্পকারখানায় যেসব শ্রমিক কাজ করে তাদের প্রবণশক্তি ১০ বছরে অর্ধেক হ্রাস পায়। শব্দদূষণের ফলে নানা ধরনের মানসিক বিকার ও অসুখের সৃষ্টি হয়। উন্নত দেশে আইন প্রণয়ন ও পালনের মাধ্যমে শব্দদূষণের মাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেলেও তৃতীয় বিশ্বে এর প্রবণতা দিনদিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে। আমরা সচেতন হলে শব্দদূষণ থেকে মুক্তি পেতে পারি। আজকের দিনে শব্দদূষণ প্রতিকারে উদ্যোগ ও সচেতনতা অতীব প্রয়ােজনীয়। সেই সাথে প্রয়োজন আমাদের সচেতনতা।
শব্দদূষণ অনুচ্ছেদ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ শ্রেণি।
শব্দদূষণ
শব্দ বা আওয়াজ হলাে ধ্বনি-তরঙ্গ। এটি মানুষের বাগ্যন্ত্র বা অন্য কোনাে উৎস থেকে উৎপাদিত বা সৃষ্টি হয়ে আমাদের কর্ণকুহরে এসে পৌছায়। এসব শব্দ কখনাে কখনাে আমাদের জন্য ক্ষতিকর ও বিরক্তিকর হয়ে ওঠে, আর সেটিই হলাে শব্দদূষণ।
সুন্দর
Noice