নাক ডাকার সমস্যা বিষয়ে বেশী মনোযোগ দেওয়া দরকার। কয়েকটি সহজবোধ্য কৌশল ব্যবহার করে, এই সমস্যাটি হ্রাস করা যেতে পারে।
নাক ডাকা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যে ব্যক্তি নাক ডাকছেন তাঁর চেয়েও বেশী সমস্যা হয় যিনি পাশে থাকেন। নাক ডাকাকে অবশ্য অনেক ব্যক্তি গুরুত্বের সাথে নেয় না। চিকিৎসকের মতে, নাক ডাকা একটি জটিল রোগের লক্ষণও হতে পারে। বর্তমানে যে শব্দটিকে সাধারণত নাক ডাকা বলা হয় তা আসলে নাকের নয় বরং গলা এবং নাকের মধ্যবর্তী অঞ্চল থেকে উদ্ভূত হয়। সেখানে বায়ু বাধা দিলে এ ধরনের শব্দ উৎপন্ন হয়। এটাকে ডাক্তারি ভাষায় “স্লিপ অ্যাপনিয়া” বলা হয়। এই সমস্যা থাকলে বাড়তি গুরুত্ব নিয়ে বিষয়টি দেখা জরুরি। কিন্তু কিছু সহজবোধ্য কৌশল অবলম্বন নাক ডাকার সমস্যায় সাহায্য করতে পারে।
১) ধূমপান না করা
অত্যধিক ধূমপান শ্বাসনালীর স্বাস্থ্যকে জটিল করতে পারে। কিছু নাসিকাপেশির স্ফীত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক সময়, ধূমপান ত্যাগ করলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর হবে, যা নাক ডাকার প্রবণতা কমিয়ে দেবে।
২) ওজন কমানো
নাক ডাকার অনেক কারণ রয়েছে যার মধ্যে একটি হল অতিরিক্ত ওজন। ওজন বাড়ার সাথে সাথে নাক ডাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ওজন কমানোর সাথে সাথে নাক ডাকাও কমে যেতে পারে।
৩) রসুন
রসুনের ব্যবহার ঠান্ডা উপশমে সাহায্য করতে পারে। রসুনের সাথে মেশানো গরম পানি দিয়ে গার্গল করলে সর্দি-কাশি ও নাক ডাকার সম্ভাবনা কমে যায়।
৪) দারুচিনি
নাক ডাকা বন্ধ করতে দারুচিনি গুঁড়ো হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে তারপর গার্গেল করার। হলুদ এবং গরম জল একসঙ্গে মিশিয়েও উপকার পেতে পারেন।
৫) অলিভ অয়েল
ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুই ফোঁটা অলিভ অয়েল দুই নাকের ছিদ্রে দিলে নাক খুব পরিষ্কার থাকবে। ফলে নাক ডাকার সমস্যা কমে যেতে পারে।