অনুচ্ছেদ

বাংলা নববর্ষ – অনুচ্ছেদ (৬ ৭ ৮ ৯ ১০ শ্রেণি)

Daraz cupon Code

বাংলা নববর্ষ অনুচ্ছেদ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ শ্রেণি।


বাংলা নববর্ষ

নববর্ষ নামটি শুনলেই মনের মধ্যে কেমন জানি একটা অদ্ভুত ব্যাপার কাজ করে। হারিয়ে যাই সেই ছােট্টবেলার স্মৃতির মায়াজালে। তখন নববর্ষ এলেই খুশির বন্যা বয়ে যেত। মনে হয় সারা বছরের কলুষতা, পুরাতন স্মৃতি ভুলে বাঙালি বরণ করে ১লা বৈশাখকে। 

বাংলার মানুষ সাদরে বরণ করে নেয় নববর্ষের প্রথম দিনটিকে। পহেলা বৈশাখ আমাদের যাত্রা শুরুর লগ্ন। এক বছরের ক্লান্তি-শ্রান্তি, ব্যর্থতা, সার্থকতা, প্রাপ্তি, নৈরাশ্য সব পেছনে ফেলে নববর্ষ নতুন যাত্রার দিন। পুরনাে বছরের অবসানে নববর্ষ আসে তারুণ্যের প্রদীপ হাতে নিয়ে। বাংলা সনের মূল স্রষ্টা আমীর ফতেউল্লা সিরাজী। কিন্তু বাংলা নববর্ষের প্রচলন করেছিলেন মােঘল সম্রাট আকবর। কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশে নববর্ষের আনন্দ উৎসবের নিবিড় যােগ রয়েছে ফসলের সঙ্গে। আমাদের দেশে কালবৈশাখির প্রমত্ত নৃত্যের তালে তালে আসে গ্রামীণ ফসলের আশ্বস- ফসল বােনা ও ফসল কাটার ধুম। নববর্ষের আগমনে প্রকৃতিও ধারণ করে নতুন রূপ। নববর্ষে সারা দেশে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে। মেলায় বিভিন্ন ধরনের মাটির জিনিস, খেলনা, তৈজসপত্র বিক্রি করা হয়। তাছাড়া নাগরদোলা, পুতুল নাচ, কবি গান, সার্কাস, মুড়ি মুড়কির দোকান, খই ও বাতাসা, কদমা প্রভৃতি বৈশাখী মেলাকে বৈচিত্র্যময় ও আকর্ষণীয় করে তােলে। শহরেও নববর্ষ পালিত হয় বিশেষ রীতি ও মাত্রায়। ১লা বৈশাখের আসর বসে রমনার বটমূলে। বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি চত্বরও সরব হয়ে ওঠে আবহমান বাংলা গানের ছন্দ-সুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ছাত্র-ছাত্রীরা দেশীয় পশুপাখির নকশাসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহকারে নববর্ষের র‍্যালি করে থাকে। বাংলা নববর্ষ কেবল সংস্কৃতির নয় এর অর্থনৈতিক দিকও রয়েছে। পহেলা বৈশাখ ব্যবসায়ী মহলে হালখাতার দিন। হালখাতা উপলক্ষ্যে ক্রেতা-বিক্রেতাদের লেনদেনে যে বাকি আছে তা পরিশােধ করা হয়। এ মেলা উপলক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক নকশি-পিঠা, খিচুড়ি, পান্তা ইলিশ বিভিন্ন ধরনের রুচিশীল খাবার গ্রহণের রীতি প্রচলিত আছে। নববর্ষ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও মানুষজন শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।


 এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন। 

সম্পর্কিত টপিক

মন্তব্য করুন

Back to top button