ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে যাকাত একটি। যাদের কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ বা অর্থ রয়েছে তাদের উপর যাকাত আদায় করা ফরয। আসুন জেনে নেই সম্পদ কি পরিমাণ থাকলে যাকাত ফরয হয়।
কি পরিমাণ সম্পদ থাকলে যাকাত ফরয হয় |
কোন্ কোন্ অর্থ/সম্পদ কি পরিমাণ থাকলে যাকাত ফরয হয়
* যদি কারও নিকট শুধু সােনা থাকে- রুপা, টাকা-পয়সা ও ব্যবসায়িক পণ্য কিছুই না থাকে, তাহলে সাড়ে সাত তােলা বা তার বেশি (সেনা) থাকলে বৎসরান্তে তার উপর যাকাত ফরয হয়।
* যদি কারও নিকট শুধু রুপা থাকে- সােনা, টাকা-পয়সা ও ব্যবসায়িক পণ্য কিছুই না থাকে, তাহলে সাড়ে বায়ান্ন তােলা (রুপা) থাকলে বৎসরান্তে তার উপর যাকাত ফরয হয়।
* যদি কারও নিকট কিছু সােনা থাকে এবং তার সাথে কিছু রুপা বা কিছু টাকা-পয়সা বা কিছু ব্যবসায়িক পণ্য থাকে, তাহলে এ ক্ষেত্রে সােনার সাড়ে সাত তােলা বা রুপার সাড়ে বায়ান্ন তােলা দেখা হবে না বরং সােনা, রুপা এবং টাকা-পয়সা ও ব্যবসায়িক পণ্য যা কিছু আছে সবটা মিলে যদি সাড়ে সাত তােলা সােনা বা সাড়ে বায়ান্ন তােলা রুপার যেকোনাে একটার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলে (বৎসরান্তে) তার উপর যাকাত ফরয হবে।
* যদি কারও নিকট শুধু টাকা-পয়সা থাকে- সােনা, রুপা ও ব্যবসায়িক পণ্য কিছু না থাকে, তাহলে সাড়ে সাত তােলা সােনা বা সাড়ে বায়ান্ন তােলা রুপার যেকোনাে একটার মূল্যের সমপরিমাণ (টাকা-পয়সা) থাকলে বৎসরান্তে তার উপর যাকাত ফরয হবে ।
* কারও নিকট সােনা, রুপা ও টাকা-পয়সা কিছুই নেই শুধু ব্যবসায়িক পণ্য রয়েছে, তাহলে উপরােক্ত পরিমাণ সােনা বা রুপার যেকোনাে একটার মূল্যের সমপরিমাণ থাকলে বৎসরান্তে তার উপর যাকাত ফরয হবে ।
* কারও নিকট সােনা, রুপা নেই শুধু টাকা-পয়সা ও ব্যবসায়িক পণ্য রয়েছে, তাহলে টাকা-পয়সা ও ব্যবসায়িক পণ্যের মূল্য মিলিয়ে যদি উক্ত পরিমাণ সােনা বা রুপার যেকোনাে একটার মূল্যের সমপরিমাণ হয় তাহলে বৎসরান্তে তার উপর যাকাত ফরয হবে ।
.