প্রিয় পাঠক, আশা করছি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দয়া ও মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব আর তা হল কোরবানি। আমারা মুসলিমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেরা দিয়ে কোরবানি দিয়ে থাকি আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। তাই মুসলিম হিসেবে আমাদের কোরবানি সম্পর্কে ভাল ভাবে জানা উচিত। আপনাদের সুবিধার্থে কোরবানি পর্বটি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্।
কোরবানির অর্থ ও তার প্রচলন
কোরবানি বলা হয় আল্লাহ রাব্দুল আলামিনের নৈকট্য অর্জন ও তার এবাদতের জন্য পশু জবেহ করা। আর আল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু জবেহ করা তিন প্রকার হতে পারে :
১. হাদী
২. কোরবানি এবং
৩. আকীকাহ।
তাই কোরবানি বলা হয় ঈদুল আজহার দিনগুলোতে নির্দিষ্ট প্রকারের গৃহপালিত পশু আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য জবেহ করা। ইসলামি শরিয়তে এটি এবাদত হিসেবে সিদ্ধ, যা কোরআন, হাদিস ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্যমত দ্বারা প্রমাণিত। কোরআন মজীদে যেমন এসেছে।
তোমারা প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাতা আদায় করো ও পশু কোরবানি কর। (সুরা কাওসারঃ ২)
বল, আমার নামায, আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে। তাঁর কোন অংশীদার নেই। আমি তাই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম আনুগত্যশীল। (সূরা আল আন-আম: ১৬২-১৬৩)
হাদিসে এসেছে,
বারা ইবনে আযিব রা. থেকে বর্ণিত যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ঈদের সালাতের পর কোরবানির পশু জবেহ করল তার কোরবানি পরিপূর্ণ হল ও সে মুসলিমদের আদর্শ সঠিকভাবে পালন করল।
আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন : আল্লাহর রাসূল (সঃ) নিজ হাতে দুটি সাদা কালো বর্ণের দুম্বা কোরবানি করেছেন। তিনি বিসমিল্লাহ ও আল্লাহু আকবর বলেছেন। তিনি পা দিয়ে দুটো কাঁধের পাশ চেপে রাখেন। তবে বুখারিতে সাদা কালো শব্দের পূর্বে শিংওয়ালা কথাটি উল্লেখ আছে। (বুখারি ৫৫৪৫, মুসলিম ১৯৬৬)
প্রিয় পাঠক, হাদিসের আলোকে কোরবানির অর্থ ও এর প্রচলন সম্পর্কে আপনাদের কিছুটা ধারনা দিতে আশা করছি পেরেছি। কোরবানি বিষয়ে পর্ব ২ এ কোরবানির বিধান নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাল্লাহ।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।