কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক কে বলে তা বহুদূর, মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক মানুষেতে সুরাসুর
বিষয়ঃ ভাবসম্প্রসারণ
শ্রেণীঃ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ SSC HSC JSC
মূলভাব
প্রকৃতপক্ষে স্বর্গ ও নরকের অবস্থান মানুষের মধ্যেই বিরাজমান। রিপুর তাড়নায় মানুষ বিবেকহীন নরকের যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। প্রেমময় ও কল্যাণময় আচরণ স্বর্গসুখ নিয়ে আসে।
সম্প্রসারিত ভাব
স্বর্গ (Heaven) নরকের (Hell) অস্তিত্ব আছে পরকালে। স্বর্গে বাস করে পুণ্যবানেরা, ভােগ করে অনন্ত সুখ-শান্তি । আর নরকে বাস করে পাপাচারীরা, ভােগ করে কঠিন শাস্তি। কিন্তু এ জগতেই আমরা স্বর্গ-নরকের অস্তিত্ব প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করি। পৃথিবীর (Earth) বুকে মানুষের মাঝেও এ স্বর্গ-নরকের অবস্থান লক্ষণীয়। নিজের কর্মফলের মধ্য দিয়েই মানুষ এখানে স্বর্গ-নরকের ফল ভােগ করে। লােভ-লালসা ইত্যাদি মানুষকে অন্যায়ের পথে ঠেলে দেয়।
অন্যায় আচরণ ও পাপাচারের ফলে সমাজে নেমে আসে ঘােরতর অন্ধকার ও চরম অশান্তি। ফলে সমাজ নরকের ক্ষুদ্র সংস্করণ হয়ে ওঠে। পক্ষান্তরে হিংসা, দ্বেষ, লােভ-লালসা অন্তর থেকে বিদূরিত করে সরল প্রাণে ঐক্য ও শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে সংসারেই নেমে আসে স্বর্গীয় সুষমা ও শান্তি। মাটির পৃথিবী তখন হয়ে ওঠে স্বর্গীয় লীলা-নিকেতন। পৃথিবীর মানুষ তার কর্মফলের মাধ্যমেই স্বর্গের সুখ ও নরকের যন্ত্রণা ভােগ করে থাকে। মানুষের অপকর্মের ফল নরকযন্ত্রণা আর মহৎ কাজের ফল স্বর্গীয় আনন্দ।
মন্তব্য
পৃথিবীর সুখ ও দুঃখ সৃষ্টি মানুষের নিজের ওপর নির্ভর করে। মানুষের আপন কর্মের ফলেই এই পৃথিবী হতে পারে স্বর্গ আবার হতে পারে নরক।