যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই
পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন
মূলভাব
জগতের কোনাে বস্তুকেই তুচ্ছজ্ঞান করা উচিত নয়। অতি তুচ্ছ বস্তুর মধ্যেও হয়তাে লুকিয়ে থাকতে পারে বিশাল কোনাে সম্ভাবনা।
সম্প্রসারিত ভাব
মানুষ সাধারণত বড় বা মূল্যবান জিনিসের প্রতি মােহাবিষ্ট হয় এবং ছােট বা নগণ্য জিনিসকে তুচ্ছ জ্ঞান করে, অবহেলা করে। আসলে তা উচিত নয়। কারণ মূল্যহীন ছাইয়ের নিচে অমূল্য রতন পাওয়া বিচিত্র কিছু নয়। কোনাে কিছুর উপরিভাগের দীনতা কিংবা সৌন্দর্যহীনতা দেখে সম্পূর্ণ জিনিসটাকে তুচ্ছ ভাবা ঠিক নয়।
কারণ অনেক সময় অতি সাধারণ জিনিসের ভেতরেই অসাধারণ বস্তু লুকানাে থাকে। আমাদের জগৎ-সংসারে মানুষ সাধারণত সােনার হরিণ ধরার মতাে মহামূল্যবান জিনিসের পেছনে প্রতিনিয়ত ধাবমান। তারা হাতের কাছের সাধারণ জিনিসকে তুচ্ছজ্ঞান করে। বহিরাবয়বের এ সাধারণ জিনিসগুলাের ভেতরেই অসাধারণ মহামূল্যবান জিনিসের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। যেমন, ঝিনুকের ভেতরে মুক্তা পাওয়া অসম্ভব কিছু নয়। কখনাে কখনাে বাহ্যিক অবয়ব, পােশাক-পরিচ্ছদ অতি সাধারণ হলেও অনেক সময় তাদের ভেতরে বসবাস করে অসাধারণ মানুষ।
মন্তব্য
এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, ক্ষুদ্র বলে কোনাে জিনিসকে তুচ্ছ করা উচিত নয়। প্রয়ােজনে তার সত্যিকারের রূপ উদঘাটনের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা যাচাই-বাছাই করা উচিত।
আমার ভারো লেগেছে। কিন্তু এটা কী ssc এর জন্য উপযোগী?
হ্যাঁ যাবে তবে আরও একটু বড় হলে তা এসএসসি'র জন্য ভাল হবে বলে আমি মনে করি। আমি চেষ্টা করবো এসএসসি'র উপযোগী করে একটাকে লিখতে। ধন্যবাদ আপনাকে।