
স্বাধীনতা দিবস
বিষয়ঃ অনুচ্ছেদ
শ্রেণিঃ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ SSC HSC JSC PSC
স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ স্মরণীয় একটি দিন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল এদেশের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র স্বাধীনতার সংগ্রাম। এ দিনটি স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদার বর্ণিল স্মারক। ১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (Awami League) নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছিল। কিন্তু গণমানুষের রায়কে উপেক্ষা করে পাকিস্তানি সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে।
এদেশের মানুষ তা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি আন্দোলন শুরু করে। এদেশের মানুষের আন্দোলনে ভীত হয়ে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানী বর্বর শাসকগােষ্ঠী বাংলাদেশের নিরত্র নিরহ মানুষের মানুষের উপর আক্রমণ চালায়। সারাদেশব্যাপী হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযােগসহ নানা ধরনের বর্বরতা চালায়। এদেশের অকুতােভয় বাঙালিও পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তুলে। দীর্ঘ নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস।
প্রতিবছর এ দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশেষ মর্যাদায় পালন করা হয়। স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গৌরবের ও মর্যাদার।
অণুচ্ছেদটির বিকল্পঃ
দীর্ঘ প্রায় দুই শত বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে আমরা যখন স্বাধীন হই ঠিক তখনই আবার পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়ি। এ পরাধীনতা পশ্চিম পাকিস্তানিদের হাতে, যা প্রায় তেইশ বছর স্থায়ী ছিল। স্বাধীনতা দিবস বাঙালি জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। জাতি হিসাবে আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা এবং আত্মনির্মাণের সংগ্রাম শুরু হয়েছিল এ দিনেই। আমাদের স্বাধীনতা দিবস তথা ২৬ মার্চ দিবসটি অতিগৌরবের। ১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছিল। কিন্তু গণমানুষের রায়কে উপেক্ষা করে পাকিস্তানি সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় বহাল থাকার চেষ্টা করে। এদেশের মানুষ তা মেনে নিতে পারেনি। জাতির ভাগ্যাকাশে নেমে আসে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়াবহতা। দেশব্যাপী হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযােগসহ নানা ধরনের বর্বরতা চালায় পাকিস্তানি শাসকবাহিনী। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘােঘণা করা হয়েছিল বলে ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। প্রতিবছর রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশেষ মর্যাদায় পালন করা হয়। আমাদের দেশের মানুষ যে উদ্যম, সাহস ও ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছিল স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আজ ভাবার সময় এসেছে আমরা কি আদৌ সে চেতনা লালন করছি? স্বাধীনতা দিবস আমাদের সংগ্রামী চেতনার বহিঃপ্রকাশ। আমরা যে কারাে কাছে মাথা নত করি না, মাথা নত করতে জানি না এবং অকুণ্ঠচিত্ত ২৬ মার্চ আমাদের সে কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। প্রতি বছর এ দিবসটি আসবে, প্রতিবারই আমরা একে তােপধ্বনি, সামরিক কুচকাওয়াজ, সভা-সমিতি, আলােচনা সভা, সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল ইত্যাদি দিয়ে বরণ করে নেব। আমাদের চেতনায়, আমাদের কর্মে ও প্রতিশ্রুতিতে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তােলার প্রেরণা থাকতে হবে সর্বাগ্রে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অমলিন করে রাখার মধ্য দিয়েই দিবসটির তাৎপর্য নিরূপণ করা সম্ভব।
Choto hoiche
R ektu boro hole valo hoito
যেহেতু অনুচ্ছেদ স্বাধীনতা দিবস নিয়ে তাই ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক সম্পর্কে লিখলে আরো ভালো হতো। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু কিভাবে বাঙ্গালীদের যুদ্ধ করতে উৎসাহিত করে তা সম্পর্কে অল্প কিছু তথ্য সংযোগ করলে অনুচ্ছেদটি আরো বড় হত।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। খুব শীঘ্রই অণুচ্ছেদটি সংশোধন করা হবে।