ছবি সূত্রঃ iStockPhoto |
মানুষের ভালােভাবে বেঁচে থাকার প্রয়ােজনীয় অধিকারগুলােকে একত্রে মানবাধিকার বলে। মানুষ হিসেবে আমাদের সবার সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। এ জন্য মানুষের কিছু সুযােগ-সুবিধার প্রয়ােজন হয়। যেমন লেখাপড়া করার অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার, প্রত্যেকের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার। এ ছাড়া রয়েছে বিপদে পড়লে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়ােজিত লােকজনের সাহায্য পাওয়ার অধিকার। সমাজের সদস্য হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য একজন মানুষের এরূপ আরাে অনেক সাহায্য-সহযােগিতার প্রয়োজন হয়। সর্বোপরি, সমাজে বসবাসরত একজন মানুষকে টিকে থাকতে হলে পদে পদে মানবাধিকারের দ্বারস্থ হতে হয়। জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর মানুষের প্রয়ােজনীয় এসব অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে অনুমােদন করেছে মানবাধিকার সর্বজনীন ঘােষণাপত্র। এ ঘােষণাপত্র অনুযায়ী জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, নারী-পুরুষ, আর্থিক অবস্থাভেদে বিশ্বের সবদেশের সব মানুষের মানবাধিকার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। মানবাধিকার মানুষের জীবনকে ভালােভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এটি মানুষের ভালাে গুণগুলােকে বিকশিত করে মানুষে মানুষে সম্প্রীতি তৈরি করে এবং সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে ২০০৯ সালে মানবাধিকার কমিশন গঠিত হলেও প্রায় সময় সংবাদপত্রে আমাদের সমাজে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা শােনা যায়। এমতাবস্থায় মানবাধিকার কমিশনকে আরাে শক্তিশালী হতে হবে। বাংলাদেশের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে সেখানে তাদের ছুটে যেতে হবে এবং তা বন্ধে কার্যকরী পরিকল্পনা নিতে হবে। কেননা স্বাধীন এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকার ও সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মানবাধিকারের বিকল্প নেই।