শিক্ষা সংবাদ

ষষ্ঠ – সপ্তম শ্রেণী শিক্ষার্থীদের কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে? বিস্তারিত জেনে নিন

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হয়েছে নতুন কারিকুলাম। পরিবর্তন এসেছে পাঠ্যপুস্তকে, থাকছে না প্রচলিত পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন। তাহলে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে কীভাবে?

Daraz cupon Code
4.9/5 - (120 votes)

সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বর্তমানে প্রচলিত পরীক্ষা ও মডেল টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন না করার নির্দেশনা জারি করেছে। তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এখনও শিক্ষার্থীদের কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।

এনসিটিবি জানিয়েছে যে নতুন পাঠ্যক্রমে, নির্দিষ্ট কাজের মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পূর্বনির্ধারিত প্রশ্নের ভিত্তিতে প্রচলিত কাঠামোবদ্ধ পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। তবে বছরের শুরু থেকে নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি ধারাবাহিক মূল্যায়ন অব্যাহত থাকবে। মে মাসে, শিক্ষার্থীদের জন্য চূড়ান্ত ব্যাপক মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হবে।

এনসিটিবি সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, ‘প্রতিনিয়ত এই মূল্যায়নগুলো চলছে। এগুলো গিয়ে শেষ পর্যন্ত সামষ্টিক মূল্যায়নে ৬ মাস পরে একবার, ১২ মাস পরে একবার গিয়ে প্রভাব পড়বে। কিন্তু ৩ ঘণ্টা বা ১ ঘণ্টার পরীক্ষাটা হচ্ছে না। তবে ৬ মাসের মাথায় সামষ্টিক মূল্যায়ন যেটা হবে, সেটা কিন্তু পরীক্ষার মতো ৩ ঘণ্টার বিষয় না। সেখানেও কিছু কাজ দেয়া হবে, সেটার জন্য কিছু লিখাও থাকবে। কাজটা সে কীভাবে করেছে, সেটার বিবরণ থাকবে। কাজের মাধ্যমে সে কী পেয়েছে, সেগুলোকে প্রকাশ করবে।’

এ ছাড়া সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য শিক্ষার্থীদের আলাদা কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন হবে না, তাই বিলম্বে মূল্যায়ন পদ্ধতি জানালেও তার কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জানান অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য শিক্ষার্থীদের আলাদা করে কিছু করতে হবে না। কিন্তু শ্রেণি কার্যক্রমে তাকে নিয়মিত হতে হবে।’

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান পরীক্ষা পদ্ধতি বজায় রেখে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন শিক্ষা গবেষকরা। তিন মাস পেরিয়ে গেলেও তারা বলছেন, মূল্যায়ন পদ্ধতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় সমন্বয়ের অভাব দেখা যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মজিবুর রহমান বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে না গিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হচ্ছে এটা হাস্যকর।


 এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন। 

সম্পর্কিত টপিক

মন্তব্য করুন

Back to top button