
অতিরিক্ত খাবার হার্টের উপর প্রভাব ফেলে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। শুধু ডায়েট নয়, অতিরিক্ত ব্যায়ামও হার্টের স্বাস্থ্যকে খারাপ করতে পারে।
সুস্থ থাকার জন্য ওজন কমানো জরুরি। অতিরিক্ত শরীরের ওজন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার দিকে পরিচালিত করে। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ- এক বাক্যে তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু কম সময়ে ওজন কমানোর প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে পারে। অতিরিক্ত খাবার হার্টের উপর প্রভাব ফেলে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। শুধু ডায়েট নয়, অতিরিক্ত ব্যায়ামও হার্টের স্বাস্থ্যকে খারাপ করতে পারে। এমন উদাহরণ কম নয়। জিমে ওয়ার্কআউট করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলিউড অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা। সূত্রের খবর, সিদ্ধার্থ যদি শ্যুটিং না করেন, তবে তিনি বেশিরভাগ সময় জিমে কাটান। বডি বিল্ডিং এর প্রতি তার আলাদা অনুরাগ ছিল। কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তবও জিমে ব্যায়াম করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যায়াম নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর। তবে এর একটা নির্দিষ্ট মাত্রা থাকা দরকার। সীমা ছাড়িয়ে গেলে ক্ষতি হয়।
ডায়েট এবং নিয়মিত ব্যায়ামই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার একমাত্র উপায়। কিন্তু এটি করার সময়, আমাদের শরীরের কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। ডায়েট স্বাস্থ্যকর হতে হবে। রোজা রেখে চিকন হয়ে গেলেন- কিন্তু ব্যাপারটা এত সহজ নয়। খাদ্য স্বাস্থ্যকর এবং সুষম হতে হবে। স্লিমিং পর্যায়ে অনেক লোক তাদের দৈনন্দিন খাবারে ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট রাখে না। পুষ্টিবিদদের মতে, এই সিদ্ধান্ত ভুল। সমস্ত পুষ্টি শরীরে যেতে হবে। তবেই রোগমুক্তির পথ মসৃণ হবে। ‘লো ক্যালরি ডায়েট’ ‘ক্র্যাশ ডায়েট’ এখন খুবই জনপ্রিয়। চিকিৎসকরা বলছেন, এ ধরনের খাবার হার্টের ওপর প্রভাব ফেলে। কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচল কমিয়ে দেয়। হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এমন খাবার বেছে নিন যা হার্ট-স্বাস্থ্যকর এবং একই সঙ্গে ওজন কমায়।