প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজ ই-লার্নিং অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করবো। প্রথমে ই-ল্যারিংয়ের ছোট একটি ইতিহাস বলি। ১৯৯৯ সালে, “ই-লার্নিং” শব্দটি প্রথমবারের মতো এলিয়ট ম্যাসি ডিজনি ওয়ার্ল্ডে টেকলার্ন সম্মেলনের সময় উল্লেখ করেছিলেন।
ই-লার্নিং মূলত অনালাইন ভিত্তিক শিক্ষা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের ফলে ই-লার্নিং এর ধারণার উদ্ভব হয়েছে। বর্তমানে মানুষ নতুন বিষয়ে জানার তাগিদ অনুভব করলেও সে বিষয়ে কোর্স সম্পন্ন করার পর্যাপ্ত সময় নেই। প্রকৃত পক্ষে কোন বিষয় জানতে তারা ইন্টারনেটের সহায়তা নিচ্ছে, যা কোন কাজ বা আলোচনা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় ই-লার্নিং শব্দটির আগমন। যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে ই-লার্নিং শব্দটি বেশি আলোচিত হচ্ছে। এতে লেখা, ছবি, চলচ্চিত্র, শব্দ ও ছবি রেকর্ড করা, স্যাটেলাইট টেলিভিশন, সিডি অথবা ডিভিডি রম এবং কম্পিউটার ও ওয়েবসাইট শিখা যায়। ই-লার্নিং ক্লাসের ভিতরে কিংবা বাহিরে হতে পারে। এটি নিজে নিজে কিংবা নির্দেশকের নির্দেশনা অনুযায়ীও হতে পারে। এটি সাধারণভাবে নতুন প্রযুক্তি শিক্ষায় বড় ধরণের পার্থক্য তৈরী করতে পারে বলে ভাবা হয়। ই-লার্নিংয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক লোক মনে করেন কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা অর্জন করার জন্য প্রাথমিক প্রযুক্তি ও ব্যবহারিক জ্ঞান অবশ্যই থাকতে হবে। ই-লার্নিং সহজীকরণে বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। অধিকাংশ ই-লার্নিং ব্লগ, শিক্ষণীয় সফটয়্যার, ই-তথ্য, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ও কৃত্রিম ক্লসরুমসহ বিভিন্ন কৌশলের সহায়তা নিয়ে থাকে। ই-লার্নিং এতই গুরুত্বপূর্ণ কৌশলে পরিণত হয়েছে যে, শিক্ষা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো এটিকে ব্যবহার করতে বিপুল সময় অর্থ ও প্রচেষ্টা ব্যয় করছে। ই-লার্নিং স্থান ও যন্ত্রের বিষয় বিবেচনা না করে বিপুলসংখ্যক লোকের কাছে জ্ঞান পৌঁছে দেওয়ার সহজ মাধ্যম হিসেবে পরিণত হয়েছে। এক কথায় ই-লার্নিং মানুষকে যেকোন সময়ে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষা দিতে সাহায্য করছে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এবং এভাবেই সারা পৃথিবীতে জ্ঞান ছড়িয়ে দিচ্ছে।