স্বাস্থ্য কথা

ডায়াবিটিসের ভয়ে তরমুজ খান না? কীভাবে খেলে সুস্থ সুস্থ থাকবেন

Rate this post

 তরমুজ খেলে ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা থাকে এমনটা অনেকেই মনে করে থাকেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কখন এবং কী পরিমাণ তরমুজ খাওয়া উচিত?

আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে খাওয়ার উপর অনেক বিধি নিষেধ থাকবে এমনটাই স্বাভাবিক। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। চিকিৎসকরা সব সময় ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি করে ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এতে রক্তে  শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রনে থাকে। কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য সব ধরনের ফল খাওয়া যে স্বাস্থ্যসম্মত এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। কারণ ফলের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা ও কার্বোহাইড্রেট। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিটি খাবারে ভারসাম্য রাখতে হবে।

ডায়াবিটিসের ভয়ে তরমুজ খান না? কীভাবে খেলে সুস্থ সুস্থ থাকবেন
ডায়াবেটিক রোগীরা নিরাপদে তরমুজ খেতে পারেন। তবে একবারের বেশি নয়।

গরম পড়লেই আম, তরমুজ, লিচু, জামরুলসহ বিভিন্ন ফলমূলে ভরে যায় বাজার। কিন্তু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেকেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হওয়ার ভয়ে তরমুজ খান না। রক্তে শর্করা কতটা নিয়ন্ত্রিত তা নির্ভর করে খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রার ওপর। সহজ কথায়, একটি খাবারের গ্লাইসেমিক সূচক যত কম হবে, তত ধীরে ধীরে তা রক্তে শোষিত হবে। গ্লাইসেমিক সূচকের মাত্রা ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত। জিআই স্তর যত বেশি হবে, চিনি তত দ্রুত রক্তে প্রবেশ করবে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট কিন্তু বেশির ভাগই পানি। ১২০ গ্রাম তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স প্রায় ৫ থাকে। তাই ডায়াবেটিক রোগীরা নিরাপদে তরমুজ খেতে পারেন। তবে একবারের বেশি নয়। আপনি কয়েক টুকরা খেতে পারেন। তবে তরমুজের সঙ্গে অন্য কোনো খাবার না খাওয়াই ভালো। দিনে খেলেও রাতে তরমুজ এড়িয়ে চলুন। সকালের নাস্তায় তরমুজ খাওয়া ভালো। তা হলে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button