রক্তে শর্করা বাড়তে পারে এই ঝুঁকিতে অনেকেই আম খেতে চান না। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা আমপাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে।
ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। উচ্চ রক্তচাপ এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা এই রোগের কারণে হয়। ডায়াবেটিস শরীরের অন্যতম জটিল রোগ। প্রায় ৯৫% ডায়াবেটিস রোগী টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভোগেন। এই একটি রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক জটিল রোগ।
টানা ১৫ দিন আমপাতার জল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। |
শারীরিক পরিশ্রম, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে অল্প বয়সেই শরীরে ডায়াবেটিস বসতি স্থাপন করছে। ব্যায়াম ও খাদ্যাভ্যাসের বিধিনিষেধ মেনে চলার পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকায় অনেকেই আম খেতে চান না। তবে আমপাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে। আমপাতায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো স্বাস্থ্য উপকারিতা। অনেক দেশে আমপাতা কাঁচা ও ভাজা খাওয়া হয়। আমপাতা, যা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদানে ভরপুর, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। পেকটিন, ভিটামিন সি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ আমপাতা ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কোলেস্টেরলের জন্যও ভালো। ভাবছেন কিভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো যায়? আসুন জেনে নেই।
১০ থেকে ১৫ টি আম পাতা নরম হওয়া পর্যন্ত পানিতে সিদ্ধ করুন। পাতাগুলো পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে গেলে ঠান্ডা হতে দিন। তারপর পানি ছেঁকে নিয়ে গ্লাসে ঢেলে সারারাত রেখে দিন। সকালে খালি পেটে আমপাতা সেদ্ধ এই জলটি খান। টানা ১৫ দিন এই পানীয়টি পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে। এছাড়াও সকালে খালি পেটে কাঁচা আমপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতেও ডায়াবেটিস কমবে।