বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে ও বিদ্যালয়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা । তাই এই পরিস্থিতিতে অবসর সময়ে আনন্দ পাওয়ার জন্য আমি বাড়ির আঙিনায় বাগান করার সিধান্ত নিলাম। যেহেতু বাগান করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ আমার কাছে সীমিত আর এই সীমিত সম্পদ ব্যাবহার করে কিভাবে লক্ষ্য অর্জন করা যায় তার জন্য আমি একটি কর্ম পরিকল্পনা করলাম। আমি আমার পাঠ্য বইয়ের গৃহ ব্যবস্থাপনার চারটি স্তরকে আমার বাগানের জন্য অনুসরণ করেছি। চারটি ধাপ হলঃ
- পরিকল্পনা
- সংগঠন
- নিয়ন্ত্রন
- মূল্যায়ন
ধাপ | করনীয় কাজ |
১. পরিকল্পনাঃ | বাগান করার প্রথম ধাপটি হল পরিকল্পনা। যেকোনো কাজ করতে গেলে কাজটি কেন করা হবে, কীভাবে করা হবে ইত্যাদি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করার নাম পরিকল্পনা। পরিকল্পনা হল ভবিষ্যৎ কার্যকলাপের পূর্বাভাস। বাগান করাকে সামনে রেখে লক্ষ্য অর্জন করার জন্য নিন্মের কাজগুলো সম্পাদনের সিদ্ধান্ত নিলামঃ
|
২. সংগঠনঃ | পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার জন্য সংগঠনের প্রয়োজন। কোন কাজ কীভাবে করলে ভালো হবে, কে বা কারা করবে, কী কী সম্পদ ব্যবহার করা হবে, বাগানের জন্য ফুলের চারা, মাটি, সার কোথা থেকে সংগ্রহ করা হবে, কীভাবে গাছের পরিচর্যা করা হবে ইত্যাদি বিষয় সুস্পষ্টভাবে বণ্টন করার জন্য সবার অংশগ্রহণ এবং মতামতের প্রয়োজন। বাগানে ফুল ও ফলের গাছের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ যেমনঃ মাটি, জৈব সার, ফুল ও ফল গাছের চারা, নিড়ানি ইত্যাদি সংগঠনের মাধ্যমে জোগাড় করা। এসব ছাড়াও প্রয়োজনীয় অর্থ, কাজের দক্ষতা এবং সময়ও সম্পদের আওতাধীন। সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করলে সবার কাজের প্রতি উৎসাহ সৃষ্টি হয় এবং কাজ সুন্দরভাবে সম্পাদন করা যায়।
|
৩. নিয়ন্ত্রণঃ | গৃহীত পরিকল্পনাকে বাস্তবে রুপ দেওয়া ও সংগঠনের বিভিন্ন ধারা কার্যকর করে তোলাকে নিয়ন্ত্র বলে। নিয়ন্ত্রন গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। নিয়ন্ত্রন ছাড়া পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমি বাগান তৈরিতে নিয়ন্ত্রণকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করেছি। প্রথম পর্যায়ে কাজের সক্রিয় হওয়া। অর্থাৎ উদ্যোগ নিয়ে বাগানের কাজ শুরু করা। কীভাবে বাগানের কাজ শুরু করতে হবে তা জানা থাকলে কাজ সহজ হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজের অগ্রগতি লক্ষ্য করা। অর্থাৎ কাজটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা। তৃতীয় পর্যায়ে খেয়াল রাখতে হবে পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া। যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তা হলে বাগানের পরিকল্পনার কিছুটা রতবদল করে নতুন সিধান্ত নেয়া এবং বাগান তৈরির কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা। |
৪. মূল্যায়নঃ | বাগান তৈরির শেষ ধাপটি হল মূল্যায়ন। বাগানের সকল কাজ শেষ হওয়ার পর এর ফলাফল যাচাই করাই হল মূল্যায়ন। এই ধাপটিকে আমি বিশেষ গুরুত্ব দিবো কারণ কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করা না হলে কাজের সফলতা বা ব্যর্থতা নিরূপণ করা যায় না। বাগান তৈরির কাজ সম্পাদনের পর এর ভবিষ্যৎ পরিচর্যা করা প্রয়োজন। |
Thanks for your helpfull presentation