সপ্তম শ্রেণি পঞ্চম সপ্তাহ বাংলা Assignment 2021 Question & Solution | Class Seven 5th week Bangla Assignment 2021 Solution
প্রিয় সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা, তোমরা ইতোমধ্যেই পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট হাতে পেয়েছো। তোমাদের পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ ৩০ মে ২০২১ তারিখে প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সপ্তম শ্রেণীর পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট .২০২১ বাংলা বিষয় এর নির্ধারিত কাজ এবং নমুনা উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছি। সর্বপ্রথমে চলো দেখে নেয়া যাক বাংলা পঞ্চম চতুর্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টএ কি কি থাকছে। তোমাদের বাংলা সপ্তবর্না পাঠ্য বইয়ের কবিতা ” কুলি ও মজুর” থেকে নির্ধারিত কাজ দেওয়া হয়েছে।
নির্ধারিত কাজ
নমুনা উত্তর
ক্রম | শ্রমজীবীর নাম | সমাজে তাদের অবদান | তাদের কীভাবে মূল্যায়ন করব |
---|---|---|---|
১ | কুলি | যুগে যুগে কুলি-মজুরদের মতো শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত শ্রম ও ঘামে গড়ে উঠেছে মানুষের এই সভ্যতা। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে মোটর, জাহাজ ও রেলগাড়ি চলছে। গড়ে উঠেছে দালানকোঠা ও কলকারখানা। মেহনতি এসব মানুষে নিজের গায়ের ঘাম ঝরিয়ে আমাদের কষ্টকে লাঘব করেছে। | মহৎ মেহনতি মানুষকে শোষণ করেই বিত্তবানরা সুখের অট্টালািয় বাস করে। অবজ্ঞা ও বঞ্চনাই যেন এসব শ্রমজীবী মানুষের একমাত্র পাওনা। আমাদের সমাজে উঁচু ও বিত্তবান শ্রেণির লোকেরা কুলিদের অবজ্ঞার চোখে দেখে। নিম্ন শ্রেণি বলে তাদের ছোট করা হয়। আমরা ভুলে যাই সমাজে তাদের কত অবদান রয়েছে। কুলিরা না থাকলে সমাজের অবকাঠামো উন্নয়ন সম্ভবপর হত না। তাই আমাদের উচিত তাদের যোগ্য সম্মান দেওয়া। তারাও মানুষ। তাদেরও সমাজে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। আমাদের উচিত বৈষম্যের দেয়াল উপরে ফেলে তাদের কাজকে সম্মানের চোখে দেখা। |
২ | রাজমিস্ত্রি | রাজমিস্ত্রি ভবন, সড়কপথ, রেল, বিমানবন্দর, স্টেডিয়াম সহ বড় বড় স্থাপনা নির্মান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, টেলিফোন লাইন স্থাপন ও মেরামত, জলাশয়, বাঁধ, জলাধার ও সুড়ঙ্গসহ যে কোন প্রকার উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করে। কঠোর শারীরিক পরিশ্রম করে নির্মাণ করেন উঁচু উঁচু দালান ভবন। যে কোন রকম অবাকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে একজন রাজমিস্ত্রী কাজ করেন। একজন রাজমিস্ত্রি কোন নির্মাণ কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার সহযোগীদের সাথে মিলে সম্পন্ন করেন। | বর্তমান সমাজে যারা না থাকলে আমরা আরামাদায়ক অট্টালিকায় থাকতে পারতাম না তারা হলেন রাজমিস্ত্রি। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ইট বালির স্তূপ মাথায় বহন করে তারা আমাদের জন্য নির্মাণ করে বড় বড় সব ভবন। সমাজে তারা নির্যাতিত। শ্রমের সঠিক মূল্য তারা পায় না। আমাদের উচিত তাদের শ্রমকে মূল্যায়ন করা। সঠিক পারিশ্রমিক দেওয়া থেকে শুরু করে তাদের কাজের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা। |
৩ | কামার | কামরা আগুনের তাপ সহ্য করে লোহার জিনিসপত্র তৈরি করেন। তাদের তৈরি দা, বটি, পেরেক, শাবল, কুড়াল, ছুরি ইত্যাদি আমাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত হয়। কৃষিকাজে ব্যবহৃত লাঙ্গলের ফলা, কাস্তে, নিড়ানি, খুন্তি ইত্যাদি তৈরিতে কামারদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। | বাংলাদেশের অধিকাংশ কামারই বৈষ্ণব হলেও কিছু শাক্তধর্ম ধর্মালম্বী কামারও দেখা যায়। আমাদের সমাজে এইসব পেশার লোকদেরকে নিচু করে দেখা হয়। যা অমানবিকতার পরিচয়। কামার পেশাকে সম্মানের চোখে দেখা উচিত। তাদের অবমূল্যায়ন করার কোন সুযোগ নেই কারণ তাদের কঠোর পরিশ্রমে তৈরি করা জিনিসপত্র দিয়ে আমরা আমাদের কাজকে সহজ করছি। তাদের পেশাকে সম্মান দেখাতে হবে সেই সাথে সমাজে তাদেরকে যোগ্য মর্যাদা দিতে হবে। |
৪ | মুচি | মুচি জুতা তৈরি এবং জুতা মেরামতের কাজ করেন। ত্রুটিযুক্ত বা পুরানো জুতা-সেন্ডেল মেরামত করে রং মাখিয়ে চাকচিক্য সৃষ্টি করাও এদের কাজ। মুচিরা চামার কর্তৃক সংগৃহীত চামড়া ব্যবহারোপযোগী করে তোলেন অথবা বিক্রির জন্য ট্যানারিতে নিয়ে যান। | বাংলা সাহিত্যে মুচি এবং তাদের জীবনযাত্রা যেভাবে স্থান করে নিয়েছে তাতে ধরে নেওয়া যায় প্রাচীনকাল থেকে সমাজ জীবনে মুচির একটা প্রয়োজনীয় অবস্থান ছিল। বর্তমানে সভ্যতায় এসে মুচির প্রয়োজনীয়তা বাড়লেও মিলছেনা তাদের জন্য উপযুক্ত সম্মান। এরা জুতা, সেন্ডেল তৈরি, মেরামত ও রং মাখিয়ে পালিশ করার কাজ করে বলে সমাজে তেমন সম্মান পায় না। কিন্তু তাদের তৈরি জুতা পড়ে আমরা নিজেদেরকে আধুনিক ও নান্দনিকভাবে ফুটিয়ে তুলি। কিন্তু ভুলে যাই মুচিদের কথা। পছন্দের জুতা পড়ে আমাদের বাহবা মিলছে ঠিকই কিন্তু সেই বাহবার যোগ্য লোক হল মুচি। তাই মুচিকে ছোট করে দেখার কোন অবকাশ নেই। তাদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা যাবে না। উপযুক্ত মূল্যায়ন করতে হবে তাদেরকে এবং তাদের কাজকে। |
[সপ্তম শ্রেণি পঞ্চম সপ্তাহ কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ ##eye##]
সকল সপ্তাহের শ্রেণিভিত্তিক অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ এর নমুনা উত্তর পেতে নিচের লিংকটিতে ক্লিক করো এবং লিংকটি বুকমার্ক করে রাখো। তাহলে পরবর্তীতে খুব সহজে আপডেটগুলো পেয়ে যাবে।