ভাবসম্প্রসারণ

ভাবসম্প্রসারণঃ ছােট ছােট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল…

Rate this post

ছােট ছােট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তােলে মহাদেশ সাগর অতল
বিষয়ঃ ভাবসম্প্রসারণ
শ্রেণীঃ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ SSC HSC JSC

মূলভাব

কোনাে ক্ষুদ্র বস্তুকেই তাচ্ছিল্য করা যায় না। সহস্র ক্ষুদ্রের সমন্বয়েই বৃহতের সৃষ্টি। জগতের সকল বিশাল ও মহৎ সৃষ্টির পেছনে রয়েছে ক্ষুদ্রের অবদান।

সম্প্রসারিত ভাব

পৃথিবীর কোনাে বস্তুকে ক্ষুদ্র বলে অবজ্ঞা করা উচিত নয়। কারণ বহু ক্ষুদ্রের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় বৃহৎ কিছু। আমরা সাধারণত একটি ক্ষুদ্র বালুকণা বা এক বিন্দু পানির গুরুত্ব দিই না। কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, বহু বছর ধরে কোটি কোটি বালুকণা প্রতিমুহূর্তে সঞ্চিত হয়ে বিশাল ভূ-ভাগ গড়ে তােলে, যে ভূ-ভাগে একদিন জনবসতি গড়ে ওঠে ও পরে ক্রমান্বয়ে তা শহর-বন্দরে রূপ লাভ করে।

ঠিক তেমনই ক্ষুদ ক্ষুদ্র জলবিন্দুর সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় সাগর বা মহাসাগর (Ocean)। ইংরেজ বিজ্ঞানী চার্লস রবার্ট ডারউইন (Charles Darwin) সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে বলেছেন- সরল এবং ছােট প্রাণীগুলাে থেকে জটিল ও বড় প্রাণীর উৎপত্তি ঘটেছে। অর্থাৎ আদি পৃথিবীর এককোষী অ্যামিবা (Amoeba) থেকেই ক্রমশ বহুকোষী হাজারাে প্রাণীর উৎপত্তি ঘটেছে। একইভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দোষ-ত্রুটি জড়াে হয়ে একদিন পৃথিবীতে মানবজীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। অথচ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মহৎ কাজের সমন্বয়েও একদিন পৃথিবীকে স্বৰ্গময় করে গড়ে তােলা সম্ভব। সুতরাং প্রতিটি ক্ষুদ্রেরই রয়েছে বিশাল তাৎপর্য।

মন্তব্য

দোষ-ত্রুটি ক্ষুদ্র হলেও ক্রমান্বয়ে তা বিশাল রূপ লাভ করে। কিন্তু করুণা ও ভালােবাসার ছােট ছােট বাণী এ ধরায় স্বর্গসুখ এনে দিতে পারে।
PDF Download [8KB]

 এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন। 

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button