![]() |
চরিত্র (অনুচ্ছেদ) |
চরিত্র অনুচ্ছেদ
The crown and glory of life is character.
মানুষের চরিত্রের দুটি বিপরীত বৈশিষ্ট্য রয়েছে কেউ সচ্চরিত্র, কেউ দুশ্চরিত্র। যে মানুষের চরিত্র নানা মহৎ ও সৎগুণের আধার, তিনি সচ্চরিত্র। আর কারও চরিত্র লুকানাে পশুত্বের আধার হলে সেই চরিত্রই দুশ্চরিত্র। সচ্চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি সমাজের শ্রেষ্ঠ অলংকার। চরিত্রকে জীবনের মুকুট বলা হয়। নামমাত্র নৈতিকতা বা ন্যায়নিষ্ঠাই চরিত্র নয়, চরিত্রের মধ্যে সমন্বয় ঘটবে মানুষের যাবতীয় মানবীয় গুণাবলি ও আদর্শের। চরিত্রবান ব্যক্তি জাগতিক মায়া-মােহ ও লােভ-লালসার বন্ধনকে ছিন্ন করে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় অবিচল থাকেন। যিনি চরিত্রবান তিনি কখনাে সত্য থেকে বিচ্যুত হন না, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না, ক্রোধে কিংবা আনন্দে আত্মহারা হন না, গর্বে গর্বিত হন না, কারাে সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করেন না। শিশুকাল ও শৈশবকালই হচ্ছে চরিত্র গঠনের উৎকৃষ্ট সময়। তাই বাসগৃহকে চরিত্র গঠনের উপযুক্ত স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রত্যেক শিশুই নিস্পাপ হয়ে জন্মগ্রহণ করে। মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন থেকে আরম্ভ করে পাড়া-প্রতিবেশীর পরিবেশের মধ্য দিয়েই শিশুর চরিত্র গঠিত হয়। শিক্ষাজীবনে বিদ্যালয়ে বা সমবয়স্কদের সঙ্গে খেলাধুলায় এবং সঙ্গ-প্রভাবে শিশুরা আসল চরিত্ররূপ পরিগ্রহ করে।
পৃথিবীতে আজ যারা স্বীয় কর্মবলে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন বা সমাজের মনুষ্য মহাকল্যাণ সাধন করে গিয়েছেন, তাদের জীবন-কাহিনী পড়লে দেখতে পাওয়া যায়, তাঁরা সকলেই ছিলেন চরিত্রবান এবং আদর্শ মহাপুরুষ। চরিত্রের কাছে পার্থিব সম্পদ ও বিত্ত অতি নগণ্য। প্রাচুর্যের বিনিময়ে চরিত্রকে কেনা যায় না। মানবজীবনে চরিত্রের মতাে বড় অলঙ্কার আর নেই। চরিত্র মানবজীবনের এক অমূল্য সম্পদ। সুতরাং নতুন প্রজন্মকে বেড়ে উঠতে হবে চরিত্রের মহান শক্তি অর্জন করে। আর তা করতে পারলেই আমাদের ভবিষ্যৎ হয়ে উঠবে সুন্দর ও সার্থক।