![]() |
আর্সেনিক দূষণ সম্বন্ধে একটি সংবাদ প্রতিবেদন |
মনে কর, তুমি সাজ্জাদ হােসাইন। আর্সেনিক দূষণ সম্বন্ধে একটি সংবাদ প্রতিবেদন রচনা কর।
আর্সেনিক দূষণ একটি ভয়াবহ সমস্যা
স্টাফ রিপাের্টার : সাজ্জাদ হােসাইন, কিশােরগঞ্জ।
দেশে নানান সমস্যা আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মােকাবিলা করে প্রতিনিয়ত এদেশের মানুষকে টিকে থাকতে হয়। আমাদের দেশের সাম্প্রতিক একটি সমস্যার নাম ‘আর্সেনিক দূষণ’। আর্সেনিক জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি উপাদান যা মূলত পানিতে মিশে মানবদেহে প্রবেশ করে এবং পরিণামে সৃষ্টি হয় মারাত্মক ব্যাধির।
আর্সেনিক হচ্ছে এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ যার কোনাে স্বাদ, বর্ণ ও গন্ধ নেই। এটি বিষক্রিয়ার দিক থেকে পারদের চেয়ে চার গুণ বেশি শক্তিশালী। কুষ্টিয়া জেলার অসংখ্য গ্রামের টিউবওয়েলের পানি আর্সেনিক বিষে কলুষিত। নিরূপায় গ্রামবাসী ঐ পানি পান করে অহরহ গুপ্তঘাতক আর্সেনিক রােগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ পানি পান করলে প্রাথমিক পর্যায়ে রােগীর মুখমণ্ডল ও দেহে কালচে রক্তিমাভা প্রকাশ পায়। জিহ্বা, মাড়ি, ঠোটে মিউকাস মেমব্রেন মেলানােসিস হতে পারে। কারাে কারাে হাত-পায়ের চামড়া পুরু হয়ে যায়। পরবর্তীকালে দেখা দেয় নানা জটিল রােগ। রােগী যদি প্রথম থেকে সচেতন হয় এবং চিকিৎসা গ্রহণ করে। তাহলে রােগমুক্ত হওয়া কঠিন নয়।
আমাদের দেশে আর্সেনিক সমস্যা উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। বিদেশি কিছু সংস্থা, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সম্প্রতি আর্সেনিক দূষণের ওপর পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা বাদ দিয়ে ব্যাপক জরিপ চালিয়েছে। এতে দেশের পঞ্চাশের অধিক জেলার নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের দূষণমাত্রা গ্রহণ সীমার উর্ধ্বে পাওয়া গেছে। কুষ্টিয়ার অধিকাংশ নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক দূষণ ঘটেছে। এলাকার মানুষ পানিভীতিতে দিনাতিপাত করছে। এমতাবস্থায় মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে আরও ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে অশিক্ষিত সাধারণ মানুষের সচেতন করা প্রয়ােজন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রত্যেক এলাকায় আর্সেনিক দূষণমুক্ত নলকূপের ব্যবস্থা জরুরি।