![]() |
‘মাদককে না বলুন’ শিরােনামে একটি সংবাদ প্রতিবেদন |
মনে কর, তােমার নাম ফরিদুজ্জামান। তুমি ‘দৈনিক কালের কণ্ঠ’ পত্রিকার স্টাফ রিপাের্টার। ‘মাদককে না বলুন’ শিরােনামে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রণয়ন কর।
স্টাফ রিপাের্টার, দৈনিক কালের কণ্ঠ, ফরিদুজ্জামান, ঢাকা।
বর্তমানের সামাজিক সমস্যাগুলাের মধ্যে অন্যতম হলাে মাদকাসক্তি। মাদকদ্রব্য মৃত্যু ঘটায়। এটি শুধু দৈহিকভাবেই ক্ষতিকারক নয়, মানসিক অবস্থারও সমূহ বিপর্যয় ঘটায়। এছাড়া পারিবারিক ও সামাজিক ভাবমূর্তিও ব্যাপকভাবে নষ্ট করে দেয়। ফলে নানা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি উদ্ভব হয় যা শুভকর নয়। কাজেই মাদককে ‘না’ বলাটাই উত্তম।
আমাদের দেশে মাদকদ্রব্য সেবনকে সবসময়ই ঘৃণার চোখে দেখা হতাে। তারা ছিল সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি। কিন্তু দিন বদলের হাওয়ায় সবকিছু পালটে যাচ্ছে। আজ সমাজের উচ্চবিত্ত স্বার্থান্বেষী শ্রেণি থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌছে গেছে মাদকের অভিশাপ। আর মাদক সেবীরা হচ্ছে জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসীদের হাতের পুতুল। কিশাের ও যুবসমাজ মারাত্মকভাবে এই অপমৃত্যুর জালে জড়িয়ে পড়ছে। তারা শুধু মদ, গাঁজাই নয় ফেনসিডিল, ইয়াবা ও হেরােইনের মতাে মারাত্মক ক্ষতিকর মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে এবং আত্মঘাতী মাদকের খরচ যােগাতে লিপ্ত হচ্ছে স্মাগলিং, চোরাকারবারি, কিডন্যাপিং ও খুনের মতাে জঘন্য ইতরপনা কর্মকাণ্ডে।
আমাদের দেশের যুবসমাজের অবক্ষয়ের জন্য মাদকদ্রব্য বিরাট ভূমিকা পালন করছে। যুবসমাজ ধ্বংস মানে একটি দেশের বিরাট ক্ষতিসাধন হওয়া। দেশ ও জাতির উন্নতির দ্বার অনেকাংশ রুদ্ধ হয়ে যাওয়া। আর তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ও যুবসমাজের এই ঘাতকব্যাধি থেকে উত্তরণের মাধ্যমে শুভ বুদ্ধির উদয় ঘটাতে এখনই সময় এসেছে মাদক দ্রব্যকে ‘না’ বলার। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, এনজিও ইতােমধ্যে বিভিন্ন উন্মুক্ত সেমিনার ও মানববন্ধন গড়ে তুলছে এ সর্বনাশা মাদকদ্রব্য প্রতিরােধে। আর জনগণও এখন আরও বেশি সচেতন। তাই তারাও মাদককে না বলতে শুরু করেছে। আসুন আমরা সবাই একই কণ্ঠে মিলিয়ে একসাথে মাদককে ‘না’ বলি।