বৃক্ষরােপণ সপ্তাহ পালনের প্রয়ােজনীয়তা উল্লেখ করে বন্ধুর নিকট একটি পত্র রচনা কর।
২০ জুন, ২০২০
রংপুর
প্রিয় সাজ্জাদ,
চিঠির শুরুতে আমার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিস। আশা করি ভালাে আছিস। গতকাল তাের পত্র পেয়েছি। তুই ‘বৃক্ষরােপণ সপ্তাহ পালন’-এর প্রয়ােজনীয়তা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিস। পত্র পাঠে জানতে পারলাম তুই ভালাে আছিস। যাক, পর সংবাদ গত ৫ জুন থেকে বৃক্ষরােপণ সপ্তাহ শুরু হয়েছে। আমাদের প্রধান শিক্ষক স্কুল মাঠের উত্তর কোণে একটি নিমগাছের চারা রােপণ করে বৃক্ষরােপণ সপ্তাহের সূচনা করেন। পরে আমরা ছাত্রছাত্রীরা একটি করে চারা রােপণ করি। ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে বৃক্ষরােপণ সপ্তাহের প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম। এর মাধ্যমে বৃক্ষরােপণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ কোনাে না কোনােভাবে বৃক্ষের ওপর নির্ভরশীল। তাছাড়া বৃক্ষ মানুষের ত্যাগ করা ক্ষতিকর কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস শোষণ করে আর জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন প্রদান করে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। বৃক্ষ থেকে প্রাপ্ত ফল এবং কাঠ অনেক পরিবারেরই আয়ের উৎস। গৃহ নির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরি ইত্যাদি কাজে প্রচুর কাঠ ব্যবহার করা হয়। প্রয়ােজনের তুলনায় বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ অতি নগণ্য। তারপরও এদেশের মানুষ প্রয়ােজনে অপ্রয়ােজনে বৃক্ষ কেটে চলেছে। ফলে প্রকৃতিতে দেখা দিচ্ছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। ঋতু পরিক্রমা তার স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলছে। প্রকৃতি নির্ভর আমাদের কৃষি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। অতএব, জরুরি ভিত্তিতে বৃক্ষরােপণ এবং তা রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে প্রত্যেকেরই আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত। বৃক্ষরােপণ সপ্তাহে আমাদের এবারের স্লোগান ‘একটি বৃক্ষ, একটি অক্সিজেন কারখানা’।
বৃক্ষরােপণ অভিযানে তােদের স্কুল থেকে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা জানাবি। তােদের সকলের মঙ্গল কামনা করে শেষ করছি।
ইতি,
তােরই বন্ধু ইশতিয়াক।
প্রেরক ও প্রাপকের নাম ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে।
It’s Very Good Website, It’s Easy To Learn, Thanks For…