বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয়। গুরু উত্তরসাধক মাত্র।
মানবজীবনে বিদ্যার গুরুত্ব অপরিসীম। নিজের চেষ্টা তথা সাধনা ছাড়া বিদ্যা অর্জন করা যায় না। শিক্ষক তার ছাত্রকে বিদ্যার্জনের পথ দেখিয়ে দিতে পারেন, পথ নির্দেশনা দিতে পারেন এককথায় তার শক্তিকে জাগ্রত করতে পারেন। বিদ্যার্জনের ক্ষেত্রে ছাত্রকেই মূল ভূমিকা পালন করতে হয়। জীবনকে সুন্দর করে তােলা আমাদের সবার প্রধান লক্ষ্য। আর এ সফল জীবনের জন্য প্রয়ােজন যথার্থ বিদ্যালাভের মাধ্যমে নিজেকে যােগ্য করে তােলা। তাই প্রত্যেকেই বিদ্যালাভের জন্য সচেষ্ট হন। এ প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য বিদ্যার্থীরা গুরুর সাহায্য গ্রহণ করে থাকে। শিক্ষক শিক্ষার্থীকে বিদ্যা অর্জনে দিক-নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। মূল কাজটি করতে হয় শিক্ষার্থীকেই। বিদ্যার্জনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী যদি গুরুর ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে তাহলে তার পক্ষে যথার্থ বিদ্বান হওয়া সম্ভব হবে না। কারণ শিক্ষা ধারণ করার দায়িত্ব শিক্ষার্থীরই। গুরু শিষ্যের প্রতিভা আবিষ্কার করতে পারেন, প্রতিভা বিকাশের উপায় বলে দিতে পারেন; কিন্তু নিজে শিষ্যের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারেন না। পৃথিবীতে সফলতার জন্য তথা কোনাে প্রাপ্তির জন্য প্রচেষ্টা প্রয়ােজন। বিদ্যার্জনের ক্ষেত্রে এর বিকল্প নেই। গুরু বা শিক্ষকের দিক-নির্দেশনায় শিষ্যকেই পরিশ্রম করে তা অর্জন করতে হয়। গুরু এক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবেই কাজ করেন।