জুমআর দ্বিতীয় আযানের পর খতীব দাঁড়িয়ে খুতবা পাঠ করেন। সে সময় কী নামায পড়া জায়েজ হবে?
যখন খতীব খুতবার জন্য দাঁড়াবেন, তখন থেকে খুতবার শেষ পর্যন্ত নামায পড়া বা কথা-বার্তা বলা মাকরূহ তাহরীমী। অবশ্য যে ব্যক্তি ছাহেবে তারতীব তার জন্য কাযা নামায পড়া জায়েয বরং ওয়াজিব।
সুন্নাতে মুয়াক্কাদা পড়ার মধ্যে খুতবা শুরু হলে তৃতীয় বা চতুর্থ রাকআতে থাকলে নামায পূর্ণ করে নিবে আর এর পূর্বে থাকলে দুই রাকআত পড়ে সালাম ফিরাবে । এবং এ সুন্নাত পরে পড়ে নিবে।
খুতবা চলাকালীন সময়ে করনীয়
মনােযােগের সাথে খুতবা শ্রবণ করা ওয়াজিব । দূরত্বের কারণে খুতবার আওয়াজ শুনতে না পেলেও চুপ করে কান লাগিয়ে থাকা ওয়াজিব এবং যে কাজ বা কথা দ্বারা খুতবা শােনার ব্যাঘাত ঘটে তা মাকরূহ তাহরীমী। তখন হাঁটা-চলা, সালাম করা, সালামের জওয়াব দেয়া, তাসবীহ-তাহলীল ইত্যাদি এমনকি মুখে মাসআলা বলাও নিষিদ্ধ । দান বাক্স চালানাে নিষিদ্ধ। তবে কোন বদকাজ (মুনকার) দেখলে ইশারায় নিষেধ করা ফরয।
খুতবার সময় নামাযের হালতে বসা আদব এবং কেবলামুখী হয়ে বসবে।
খুতবার মধ্যে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম মোবারক আসলে মুখে নয় বরং মনে মনে দুরুদ শরীফ পড়া জায়েয।