অনুচ্ছেদ

অনুচ্ছেদঃ আকাশ সংস্কৃতি

Daraz cupon Code
আকাশ সংস্কৃতি অনুচ্ছেদ ৬ ৭ ৮ ৯ শ্রেণি

আকাশ সংস্কৃতি

বর্তমানে পৃথিবীতে নানান দেশের মতাে আমাদের দেশেও আকাশ সংস্কৃতি ধারণাটি পরিচিতি লাভ করেছে। পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ের বৈশ্বিক পটভূমির সূত্র ধরেই আকাশ সংস্কৃতি কথাটি চালু হয়েছে। আকাশের মতােই আজকের সংস্কৃতির পরিধি অনন্ত। সাধারণভাবে আকাশ সংস্কৃতি বলতে আমরা বুঝি মহাশূন্যকেন্দ্রিক প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক ধারাসমূহের সমান্তরাল উপস্থিতি। অত্যাধুনিক টেলিযােগাযােগ প্রযুক্তির বিকাশে কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে টেলিভিশন নেটওয়ার্কের বৈশ্বিকীকরণের পর্যায়ে সংস্কৃতির স্থানীয় রূপ ও ভৌগােলিক সীমা দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ সুবাদে চালু হয়েছে অসংখ্য টিভি চ্যানেল। আকাশ সংস্কৃতির প্রধান উপকরণ মহাশূন্যে স্থাপিত অসংখ্য স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ। বিভিন্ন চ্যানেল কর্তৃক সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানমালা পৌঁছে দেয় মানুষের ঘরের কোণে টেলিভিশনের গ্রাহকযন্ত্রে যা টিভি পর্দায় ভেসে উঠে। এক্ষেত্রে ডিশ এন্টেনা উল্লেখযােগ্য মাধ্যম হিসাবে ভূমিকা পালন করে। ডিশ বা থালার আকৃতির মতাে আকাশমুখী এ এন্টেনাকে ‘ডিশ’ বলা হয়। সংস্কৃতির বিশ্বায়ন বা মুক্তবাজার সৃষ্টি করেছে আকাশ সংস্কৃতি। সমস্ত সাংস্কৃতিক ধারাকে একস্রোতে বা এক ধারায় বেঁধে দিয়েছে এটি। আমাদের দেশের সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলাে এর মাধ্যমেই বিশ্বের আনাচে-কানাচে পৌছেছে। আকাশ সংস্কৃতির বিভিন্ন সুফল থাকলেও এর কুফলকে অস্বীকার করা যায় না। আকাশ সংস্কৃতির প্রভাবে ঐতিহ্যবাহী নিজস্ব সংস্কৃতি হারিয়ে মানুষ আজ শেকড়শূন্য ও বিকৃত মানুষে পরিণত হচ্ছে। সবকিছুর ঊর্ধ্বে বলা যায়, আকাশ সংস্কৃতি আজকের দিনে যুগবাস্তবতারই অংশ। আকাশ সংস্কৃতির অপব্যবহার বন্ধ করে একে জাতীয় মনন উন্নয়নের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে হবে।

সম্পর্কিত টপিক

মন্তব্য করুন

Back to top button