অনুচ্ছেদ

অনুচ্ছেদঃ আমার প্রিয় লেখক

Daraz cupon Code
Rate this post
আমার প্রিয় লেখক
অনুচ্ছেদঃ আমার প্রিয় লেখক
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ছবি সূত্রঃ ইন্টারনেট

আমাদের দেশে ও বিদেশে নানান সাহিত্যিক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকের লেখাই আমার ভালাে লাগে। তবে সবচেয়ে বেশি ভালাে লাগে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আমার প্রিয় লেখক। তাঁর লেখনী স্পর্শে বাংলা কথাশিল্প অর্থাৎ উপন্যাস ও ছােটগল্প জনপ্রিয়তার শীর্ষে আরােহণ করেছে। তিনি বাঙালির বেদনার রূপকার। তাঁর লেখনীতেই বাংলার ব্যথিত মানুষের বাণীহারা বেদনা পেয়েছিল প্রকৃত প্রকাশের ভাষা। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি, জেলায় অতি সাধারণ মধ্যবিত্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শরৎচন্দ্রের শিল্পসৃষ্টির মূল উৎস সহমর্মিতা ও একাত্মবােধ যা তাকে সহায়তা করেছে সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিশতে, তাদের দুঃখক্লান্ত জীবনের সান্নিধ্যে এসে বিচিত্র অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হতে। “মহেশ” শরৎচন্দ্রের এক অনন্য সৃষ্টি। এ গল্পে লেখক কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের নিষ্ঠুরতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন। শরৎচন্দ্রের উপন্যাসগুলাে মূলত বাঙালির পারিবারিক জীবনকে আশ্রয় করে রচিত। বড়দিদি, বিরাজবৌ, পরিণীতা, বামুনের মেয়ে, অরক্ষণীয়া প্রভৃতি উপন্যাস পারিবারিক জীবনকেন্দ্রিক। যৌথ পারিবারিক জীবনে নরনারীর প্রেমের সঙ্গে সঙ্গে স্নেহপ্রীতি, বাৎসল্য, ঈর্ষা, স্বার্থপরতা এসব বৃত্তির পরিচয় তিনি সার্থক এবং উপযােগীভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। চরিত্রহীন, শ্রীকান্ত, গৃহদাহ প্রভৃতি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের উপন্যাস। শরৎচন্দ্র তাঁর উপন্যাসে নারী চরিত্রগুলােকে নির্মাণ করেছেন ব্যক্তি ও সমাজের ভেতরের গৃহদাহ প্রভৃতি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের উপন্যাস। শরৎচন্দ্র তাঁর উপন্যাসে নারী চরিত্রগুলােকে নির্মাণ করেছেন ব্যক্তি ও সমাজের ভেতরের মহল থেকে। গৃহদাহ উপন্যাসের ‘অচলা’, দেনাপাওনা উপন্যাসের ‘ষােড়শী, শ্রীকান্ত উপন্যাসের রাজলক্ষ্মী, দেবদাস উপন্যাসের ‘পার্বতী’ প্রভৃতি চরিত্র একেবারে জীবন্ত। উপন্যাসের ভাষা রচনায়ও রয়েছে শরৎচন্দ্রের মৌলিকতা। সবকিছু মিলিয়ে বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আমার প্রিয় লেখক।

হ য ব র ল উইকিঃ
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (Sarat Chandra Chattopadhyay)


 এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন। 

সম্পর্কিত টপিক

১ টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Back to top button