কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত – অনুচ্ছেদ
অনুচ্ছেদ লিখন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ শ্রেণী SSC HSC JSC
আরও পড়ুন: অনুচ্ছেদ লিখন কী এবং অনুচ্ছেদ লিখার নিয়ম
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত
এ মহাবিশ্বের পরিক্রমায় কত সৌন্দর্য বিরাজ করে আছে। সেসবের মধ্যে সমুদ্র অন্যতম। সমুদ্র প্রকৃতির এক বৈচিত্র্যময় সৃষ্টি। স্রষ্টার অপূর্ব লীলার মহাসমারােহ দেখা যায় জলরাশিতে। কত অজানা রহস্য লুকিয়ে আছে তার অতল গহ্বরে। সমুদ্রের রয়েছে এক মােহনীয় আকর্ষণ। সমুদ্রসৈকত অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত শুধু বাংলাদেশের নয় পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। এর দৈর্ঘ্য ১৫৫ কিলােমিটার। কক্সবাজার জেলায় বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেষে এ সমুদ্রসৈকত অবস্থিত।
সাগরের ঢেউগুলাে সমুদ্রসৈকতে এসে আছড়ে পড়ার দৃশ্য খুবই মনােরম। সাগরের জলে অনেকে গোসল করে। নানা রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা। ঝিনুক ও পুতির মালাসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস এখানে পাওয়ান যায়। সমুদ্রসৈকতের পাশে রয়েছে ঝাউবন। দর্শনার্থীরা সেখানে ছবি তােলে। সমুদ্রসৈকতের প্রকৃত সৌন্দর্য প্রতিফলিত হয় বিকেলের স্নিগ্ধ আলােয়। এ সময় সরব, চঞ্চল হয়ে ওঠে চারপাশ। সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে অপরূপ। দর্শনার্থীরা সূর্যাস্ত দেখতে সন্ধ্যায় সাগরের পাড়ে ভিড় জমায়। সাগরের গর্জন, নীলজল, ঢেউ আর বিস্তৃত আকাশ মানুষকে মুগ্ধ করে। আকাশ আর সাগরের বিশালতা সমুদ্রসৈকতে গেলেই শুধু দেখা যায়। সৈকতের একদিকে জল আর জল, পেছনে পাহাড় আর দুপাশে বালি।
প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ সমুদ্রসৈকত দেখতে আসে। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত পর্যটন শিল্প হিসাবে গড়ে উঠেছে। সমুদ্র তার নান্দনিক সৌন্দর্য বিলিয়ে মানুষের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে কর্মকাণ্ড হৃদয়ে এনে দেয় প্রশান্তি।