বিদ্যা বিনয় দান করে বিনয় দ্বারা জগৎ বশীভূত হয় – ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব
বিদ্যা অমূল্য সম্পদ। কঠোর সাধনা করে এটি অর্জন করতে হয় । বিদ্যাহীন ব্যক্তি সমাজে মূর্খ হিসেবে পরিচিত হয়। আর মূর্খ ব্যক্তিরা সমাজে কোনো কল্যাণ করতে পারে না।
সম্প্রসারিত ভাব
বিদ্যা মানুষের আচরণের পরিবর্তন ঘটায়। এর প্রভাবে মানুষ অজ্ঞতা ও মূর্খতা থেকে বেরিয়ে এসে আলােকিত মানুষে পরিণত হয়। বিদ্যার আলােকে আলােকিত না হলে মানুষের জীবন হয়ে ওঠে অন্ধকারাচ্ছন্ন। তাই মানুষের মনুষ্যত্ব বিকাশের একমাত্র উপায় বিদ্যার্জন। বিদ্যা অনেকটা পরশপাথরের মতাে, যার ছোঁয়ায় মানুষের বােধশক্তি জাগ্রত হয়। এটি মানুষকে মহৎ গুণের অধিকারী হতে সাহায্য করে। মানুষের চরিত্রের একটি মহৎ গুণ হলাে বিনয়। আর এটি অর্জন করতে হলে প্রয়ােজন শিক্ষার। বিদ্যা যেমন মানুষের মনুষ্যত্ব বিকশিত করে, তেমনই মানুষের জীবনকে সুন্দর ও সুদূরপ্রসারী করে তােলে।
স্পর্শমণির ছোয়ায় লােহা যেমন সােনা হয়ে ওঠে তেমনই বিনয়ী চরিত্রের অধিকারী সংস্পর্শে আসলে মানুষের পশুবৃত্তি ঘুচে যায়, জন্ম নেয় সৎ, সুন্দর, মহৎ জীবনের আকাঙ্ক্ষা। আর চরিত্র যদি নৈতিক অধঃপতনের কবলে পড়ে তাহলে শিক্ষিত সমাজে বিদ্যা হয়ে ওঠে মূল্যহীন। শক্তির দ্বারা মানুষ অনেক কিছু করতে পারে কিন্তু যদি বুদ্ধি, বিনয় থাকে তাহলে শক্তি সেখানে মূল্যহীন। যথার্থ বিদ্যার্থী ব্যক্তি যেমন নিজের জীবনকে সাজাতে-গােছাতে পারে তেমনই সমাজের এমনকি বিশ্বের মানুষের উপকারেও কাজ করতে পারে। আর যদি সেটা সম্ভব হয় তাহলে বিদ্যা অর্জন সার্থক হয়। সমাজ আলােকিত হয়, দেশ ও জাতি প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে পারে। এভাবে বিদ্যাকে জীবনের সাথে কাজে লাগাতে পারলে জীবন হয়ে ওঠে সুন্দর ও সুখময়
মন্তব্য
বিদ্যা মানুষের জীবনের পাথেয়স্বরূপ। আর বিদ্যার বদৌলতে মনুষ্যজীবন হয়ে ওঠে আলােকময়। বিদ্যার সাথে যদি বিনয় থাকে তাহলে মনুষ্যজীবন অনন্যতা লাভ করে।